প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২২, ০৮:৩২ পিএম
নারায়ণগঞ্জ
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন,
‘জনসমর্থনই আমার ক্ষমতা। আমি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করলেও দল-মত নির্বিশেষে সবাই আমাকে
চায়। আওয়ামী লীগে স্রোতের বেগে কত লোক এসেছে আবার চলেও গেছে। আমরা আছি এবং থাকব। দলের
বিরুদ্ধে কাজ করে কেউ টিকে থাকতে পারেনি, পারবেও না।’
আওয়ামী
লীগ অনেক বড় দল। এখানে সবার স্থান আছে। জনপ্রিয়দের যেমন স্থান আছে বিতর্কিতদেরও স্থান
আছে। একটা বিশাল দলের মধ্যে সবাই থাকে। আওয়ামী লীগ একটি বিশাল বড় জনসমুদ্র। এখানে যে
টিকে থাকার টিকে থাকবে, যে চলে যাওয়ার চলে যাবে।
রোববার
(৯ জানুয়ারি) সকালে বন্দর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের
জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আইভী
বলেন, ‘আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি। এখানে রাস্তা, ড্রেন হয়েছে, মাঠ হয়েছে। একটা কাজ
বাকি, সেটা হলো কদম রসুল ব্রিজ। এ প্রজেক্টটিও পাস হয়েছে। করোনার কারণে পিছিয়ে গেলেও
এবার এটার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী এই কদম
রসুল ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।’
শামীম
ওসমানকে গডফাদার বলা প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘শুধু আমি না, সারা বাংলাদেশ জানে শামীম ওসমান
গডফাদার। এটি তার উপাধি না, তিনি গডফাদার হয়েছেন তার কর্মে।’
আইভী
বলেন, ‘কেন্দ্র সবকিছু দেখছে, তারা অবগত আছেন। তারা কী ব্যবস্থা নেবেন সেটা তাদের ব্যাপার।
আমার বিষয় আমার জনগণ। নারায়ণগঞ্জে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমার জনগণ কখনও কোনো সন্ত্রাসী
চাঁদাবাজ গডফাদার খুনিকে গ্রহণ করেনি। সেটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। কেন্দ্র কেন্দ্রের
কাজ করবে, দল দলের কাজ করবে; জনতা জনতার কাজ করবে।’
নির্বাচনী
প্রচারণায় জনগণের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বিশাল জনসমুদ্র প্রমাণ করে
জনগণ আমাকে কতটা ভালোবাসে। জনগণের জন্য আমি কাজ করেছি। মসজিদ, মন্দির, রাস্তাঘাটসহ
বিগত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি তা আমি করেছি। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জনগণ
আবারও আমাকে নির্বাচিত করবেন।’
তিনি
আরও বলেন, ‘সারা নারায়ণগঞ্জের ভোটার আমার কথা বলে। ধর্মপ্রাণ মুসলমান আমার কথা
বলে। আমার বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়েছে, ধর্মীয় ব্যাপারে উসকানি দেয়া হয়েছে।
কিন্তু কোনোটাতেই কাজ হবে না। আমি এ শহরে সাতটা মসজিদ করেছি। আমি শ্মশানের কাজ করেছি,
মন্দিরের কাজও করেছি। আশা করি, ধর্মপ্রাণ যারা তারা মুসলিম হোক হিন্দু হোক, কোনো
অপপ্রচারে কান দেবে না। সাধারণ জনগণ আমার সঙ্গে থাকবে।’
সাবেক
মেয়র আরও বলেন, ‘যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নৌকা দিয়েছেন তিনি খোঁজখবর রাখছেন। আওয়ামী লীগের
কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের টিম এখানে আছে। প্রধানমন্ত্রী জানেন নারায়ণগঞ্জের জনগণ আমার
সঙ্গে আছেন। কে কী বলল সেটা প্রধানমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না। একজন জনপ্রতিনিধি সকল জনগণের
হয়। আমি যখন পাস করি করার পর বলেছি আমি সকলের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু আমার পরিচয়
আমি আওয়ামী লীগ। আমি বংশানুক্রমে আওয়ামী লীগ করি। আমি যখন একটা রাস্তা করি তখন হিসাব
করি না আওয়ামী লীগ যাবে না বিএনপি যাবে। আমি দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও
করব।’
আগামী
১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মোট
ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন,
নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন।
নূর/এএমকে/এম. জামান