প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২২, ০৯:৫২ এএম
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ‘এমভি সুরভী-৯’ লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে
বলে এমন অভিযোগে আতংক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মাঝে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস
ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে দমকল কর্মীরা বলেন, 'আগুন লাগেনি, ধোঁয়া দেখে যাত্রীদের মাঝে আগুন লাগার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এতে বড় ধরনের কোনও
দুর্ঘটনা ঘটেনি।' পরে লঞ্চটি মোহনপুর এলাকায় জরুরী নোঙর করে রাখা
হয়।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে রাত ৯টায় ঢাকা থেকে সদরঘাট ত্যাগ করে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা
হয়েছিল লঞ্চটি। পরে রাত দশটার দিকে মুন্সীগঞ্জ পার হয়ে মেঘনা নদীতে গেলে লঞ্চে
ধোঁয়া দেখতে পান যাত্রীরা। পরে যাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে লঞ্চটি চাঁদপুরের
মোহনপুর লঞ্চঘাটে নোঙর করা হয়। এ ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলাম বলেন, লঞ্চের দুটি ইঞ্জিনে দুটি সিলিন্ডার পাইপ থাকে। একটি সিলিন্ডার পাইপ হিট হয়ে হয়তো ধোঁয়া বের হয়েছিল। তবে আগুন ধরেনি। তারা পানি দিয়ে ধোঁয়া বন্ধ করে ফেলেছেন। এরপর একটি ইঞ্জিন দিয়ে মোহনপুর পর্যন্ত আসে। আসলে কয়েকদিন আগে লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণে ধোঁয়া দেখেই যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। আমরা আগুনের কোনও চিহ্ন পাইনি। আর আগুন লাগলে একটা ইঞ্জিন দিয়ে এতদূর আসা যায় না। লঞ্চটির ইঞ্জিন ঠিক আছে।
সুরভি-৯ লঞ্চে থাকা সুপার ভাইজার আব্দুর রব সিটি নিউজ ঢাকা'কে বলেন, সুরভি-৯ লঞ্চটির ইঞ্জিনে থাকা সিলিন্ডার পাইপে প্যাঁচানো ভেজা কাপড় থেকে বাষ্প হয়ে ধোঁয়া উঠতে শুরু করে। যাত্রীরা তা দেখে আগুন লেগেছে ভেবে আতঙ্কিত হয়ে এলোপাথারি ছুটতে শুরু করেন। পরে লঞ্চের একটি ইঞ্জিন বন্ধ করে অপর ইঞ্জিনের সাহায্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মোহনপুর ঘাটে নোঙর করা হয়। খবর পেয়ে সেখানে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস যায়। যাত্রীদের কোনও সমস্যা হয়নি।
এমভি সুরভী-৯ আবার রওনা হবে কিনা এই প্রশ্নে আব্দুর রব আরও বলেন, বিআইডব্লিউটিএর লোকজন এলে লঞ্চের ইঞ্জিন ও যাবতীয় জিনিস চেক করবেন। যদি কোনও
সমস্যা না থাকে তাহলে লঞ্চটি গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। সমস্যা থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা
করা হবে।
চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম বলেন, সুরভি-৯ লঞ্চে
ধোঁয়া দেখে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। যাত্রী এবং লঞ্চের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। লঞ্চটি
চাঁদপুরের মোহনপুরে আছে। যাত্রীদের বিকল্প আরেকটি লঞ্চে বরিশালে পাঠানোর ব্যবস্থা
করা হবে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যদি বলেন, ইঞ্জিন ঠিক আছে
তাহলে লঞ্চটির গন্তব্যে যেতে বাধা নেই।
মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অহিদুজ্জামান বলেন, লঞ্চের ইঞ্জিনে আগুন লাগার খবর যাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপর একটি ইঞ্জিন বন্ধ করে আরেকটি ইঞ্জিন দিয়ে লঞ্চটি মোহনপুর ঘাট পর্যন্ত চালিয়ে আনা হয়।
অর্ণব