• ঢাকা শনিবার
    ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১

শিয়ালের জন্য কাঁদলেন গৃহবধূ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২, ০৮:১৯ এএম

শিয়ালের জন্য কাঁদলেন গৃহবধূ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

এক বছর আগে ছোট অবস্থায় এক ব্যক্তির থেকে দুটি শিয়াল শাবক কিনে খাঁচায় করে পালন শুরু করেছিলেন হাসিনা আক্তার নামে এক গৃহবধু। এর কয়েক দিন পর একটি শাবক মারা যায়। এতে তিনি কষ্ট পেলেও অন্যটিকে সন্তানস্নেহে বড় করে তোলেন। শিয়ালটি তার দুই প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানদেরও বন্ধু হয়ে ওঠে। বন বিভাগের কতৃপক্ষ এমন ঘটনার খবর পেয়ে শিয়ালটি নিয়ে যায়। এতে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসিনা আক্তার ও তার শিশুরা।

ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর ফলকন গ্রামে। জানা গেছে, শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান শিয়ালটিকে উদ্ধার করে পরিষদে নিয়ে আসলে শিয়ালের পেছন পেছন ছুটে আসেন গৃহবধূ হাসিনা ও তার দুই প্রতিবন্ধী শিশু। কান্না করেও সেটিকে আগলে রাখতে পারলেন না তিনি। অবশেষে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের লোকেরা শিয়ালটিকে খাঁচা থেকে মুক্ত করে ছেড়ে দেন। তবে পরিবারটি অসহায় হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে।

গৃহবধূ জানায়, খুব ছোট অবস্থায় তিনি এক ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি শিয়ালের শাবক কিনে পালন করছিলেন। পরে একটি শাবক মারা গেলে বাকি একটিকে তিনি লালন-পালন করে বড় করেন। তার দুই প্রতিবন্ধী শিশু ওই শিয়ালটির বন্ধু হয়ে ওঠে। কিন্ত হঠাৎ করে তাদের খেলার সাথীকে নিয়ে আসার পর শিশু দুটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। তিনি বলেন, শাবক শিয়ালটি লালন পালনে অনেক টাকা-পয়সা খরচ হয়েছে। কারণ তার সন্তানদের মতো করে লালন পালন করেছেন। শিয়ালটিকে হারিয়ে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন ওই গৃহবধূ শিয়ালটিকে আটকে রেখেছেন।

এছাড়াও খাঁচায় বন্দী করে বন্যপ্রাণী লালন পালন করা অপরাধ। এমন সংবাদ পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে শিয়ালটিকে উদ্ধার করি এবং গৃহবধূকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেই।

 অর্ণব

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ