• ঢাকা শনিবার
    ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১

সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা, কিশোর গ্রেফতার

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২১, ০৭:০৫ পিএম

সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা, কিশোর গ্রেফতার

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম শানবান্দা গ্রামে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছিল সিফাত হোসেন ওরফে শাকিল (১৩)। এরপর শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে।
বুধবার (২৬ মে) হত্যা মামলার আসামি ওই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

পরে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠানো হলে কিশোর শাকিল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে গাজীপুর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) হাফিজুর রহমান। 

মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কিশোর শাকিল ও শিশু সিনহার বাড়ি পাশাপাশি এবং পরস্পরের খেলার সাথী। শুক্রবার (২১ মে) বিকেল ৩টার দিকে কিশোর শাকিল খেলার কথা বলে শিশু সিনহাকে চকের মাঝখানে একটি কাঠবাগানে নিয়ে যায়। বাগানের আশপাশে কেউ না থাকায় শাকিল সিনহাকে ধর্ষণ করে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা সবাইকে বলে দেবে শোনার পর শাকিল শিনহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর গামছা দিয়ে একটি মেহগনি গাছের সাথে সিনহার গলা বেঁধে শুকনো পাতা দিয়ে লাশটি ঢেকে রাখে। এবং সিনহার গলায় থাকা রুপার চেইন ও কানের স্বর্ণের রিং নিয়ে নিজ বাড়িতে রাখে শাকিল। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পুলিশ চেইন ও কানের রিং শাকিলের বাড়ির আলমারি থেকে উদ্ধার করে।’

হত্যার পরের দিন কাঠবাগান থেকে সিনহার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। শনিবার (২২ মে) সিনহার নানা আব্দুল বারেক মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে শাকিলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে সে। 

নিহত সিনহা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম শানবান্দা গ্রামের আব্দুল হালিমের বড় মেয়ে। সিনহা স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। শাকিল একই এলাকার প্রবাসী শফিকুল ইসলামের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংকালে সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলী খান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান, এসআই মো. টুটুল উদ্দিন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. জামিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ডব্লিউ এস/এম. জামান
আর্কাইভ