প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২২, ১০:১৯ পিএম
নাটোরে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। দেখে মনে হয়- এ যেন এক হলুদের রাজ্য। সরিষা ক্ষেতের রাজ্যেই লুকিয়ে আছে কৃষকের স্বপ্ন। সরিষা ক্ষেতে মধুর বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত কৃষক। মৌচাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে আধুনিক মৌবাক্স স্থাপন করে মধু
সংগ্রহ করছে স্থানীয় অনেকে কৃষক।
কৃষি বিভাগ বলছে, সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি যত ফুলে ফুলে পরাগায়ণ করবে তত বেশি উৎপাদনও বাড়বে। চলনবিলের হাতিয়ান্দহ, লালোর, শেরকোল, চৌগ্রামসহ কয়েকটি এলাকার মাঠজুড়ে হলুদ সরিষার ক্ষেতে। এসব ক্ষেতে মৌচাষের বাক্স বসিয়ে কৃষকরা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষক আল মাসুম জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় মধু চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ বছরই প্রথম মধু উৎপাদন শুরু করেছি।
কৃষক সাগর জানান, মাত্র দুটো বাক্স নিয়ে গত বছর প্রথম মধু চাষ শুরু করেছিলাম। খরচ বাদে গত বছর মধু বিক্রি করে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়েছিল। এ বছর আমার বাক্স আছে ১০টি। আশা করছি ২ লাখ টাকার মধু বিক্রি করতে পারব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘সিংড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩৮৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। সরিষা থেকে মধু উৎপাদন করে বাড়তি আয় হওয়ায় কৃষকদের মাঝে মধু চাষে আগ্রহ বাড়ছে। আমরা প্রথমবারের মতো ১০ জন কৃষককে মধু চাষের প্রশিক্ষণ দিয়ে ১০টি আধুনিক মৌবাক্স দিয়েছি। আমরা আশা করছি, আগামীতে সরিষা চাষের পাশাপাশি মধুচাষির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।
জেডআই/ডা
