প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২, ০৯:২৮ পিএম
মাদারীপুরের শিবচরে পঞ্চম ধাপের নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন শেষে দুই প্রার্থীর
সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কহিনুর
শিকদার (৪০) নামের এক
যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে পরাজিত
চেয়ারম্যান প্রার্থী নভেল শিকদারের লোকজন।
বুধবার
(৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার
বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদারহাট সংলগ্ন সকিনা শিকদার ব্রিজের কাছে এ ঘটনা
ঘটে। পরে গুরুতর আহত
অবস্থায় তাকে শিবচর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত
কহিনুর শিকদার ওই ইউনিয়নের তাহের
শিকদারের কান্দি গ্রামের আবদুল লতিফ শিকদারের ছেলে।
স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, শিবচরে পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ
নির্বাচনে বন্দরখোলা ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বন্দরখোলা
ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নবেল শিকদার এবং
মোটরসাইকেল প্রতীকের মো. মিজানুর রশিদ
শিকদার নামে আপন দুই
ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা দুজনেই পরাজিত
হন।
ওই
নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডের ভোটার
কহিনুর শিকদার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মিজানুর রশিদ
শিকদারের পক্ষে নির্বাচন করেন। বুধবার সন্ধ্যার পরে ৫নং ওয়ার্ডের
ভোটকেন্দ্র শিকদার
হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে
বাড়ি ফেরার পথে শিকদার হাটের
সকিনা শিকদার ব্রিজের কাছে এলে চেয়ারম্যান
প্রার্থী নভেল শিকদারসহ তার
সমর্থক লিপু শিকদার, রিপন
শিকদার, ময়ফল শিকদারসহ ৭-৮ জনের একটি
দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় চাইনিজ কুড়াল ও রামদা দিয়ে
কহিনুর শিকদারের মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত
অবস্থায় স্থানীয়রা কহিনুরকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহতের
ভাই কামাল শিকদার জানান, আমরা বাজারে দাঁড়ানো
ছিলাম। তখন দেখি কয়েকজন
চাইনিজ কুড়াল নিয়ে ধর ধর
বলে শব্দ করছে। এ
সময় আমি দেখি ভাইকে
তারা এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে। এ সময় হামলা
থেকে রক্ষা করতে কয়েকজন লোক
ভাইকে ধরে অন্যদিকে
নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে আমরা ভাইকে
উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
এ
বিষয়ে মিজানুর রশিদ শিকদার বলেন,
‘আমি নির্বাচন শেষ করে বাড়িতে
ছিলাম, কিছুক্ষণ পরে শুনতে পারি
নভেলের কিছু লোকজন (এলাকার
ও কয়েকজন ঢাকা থেকে আসছে)
তারা সবাই মিলে আমার
চাচাতো ভাই ফারুক শিকদারের
বাড়িতে হামলা করতে আসে। কারণ
তারা নির্বাচনে পরাজিত হয়। এমন সময়
আমার আরেক চাচাতো ভাই
কহিনুর তাদের বাধা দিলে তারা
কহিনুর শিকদারকে মারধর করে। সে আমার
সমর্থক ছিল না। সে
সদস্য পদ প্রার্থী শাহিনের
সমর্থক ছিল। মাসব্যাপী শাহিনের মিছিল মিটিং করছে। তাদের ধারণা সে আমার সমর্থক।
তবে যখন ফারুক শিকদারের
বাড়ির দিকে অস্ত্র নিয়ে
হামলা করতে যায়, তখন
কহিনুর বাধা দিতে গেলে
ওরা মনে করে সে
আমার লোক।’
এ
বিষয়ে নভেল শিকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শিবচর
থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মিরাজ হোসেন
জানান, খবর পেয়ে রাতেই
ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আহত কহিনুর
শিকদারকে শিবচর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার
পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও
কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে।
নূর/এম. জামান
