নোয়াখালী প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ার দেখছে নোয়াখালীর হাতিয়াবাসী। জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে উপজেলাটির নিম্নাঞ্চল। অন্তত ১৩টি গ্রামে প্রবেশ করেছে পানি। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার মানুষ।
বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২টা থেকে জোয়ারের পানি হাতিয়ায় ঢুকতে থাকে। তীব্র বাতাসে এর পরিমাণ বাড়তে থাকে। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ ও জমির ফসল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বেড়িবাঁধের পাশে থাকা বাসিন্দারা।
জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকেই হাতিয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের তীব্রতা ও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। আর দুপুর ১২টার দিকে জোয়ার আসতে শুরু করে।
বুধবার স্বাভাবিকের চেয়ে মেঘনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ থেকে ৬ ফুট। এতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলাটির নিম্নাঞ্চল। চার থেকে পাঁচ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে সুখচর, নলচিরা, চর ঈশ্বরের ৪টি গ্রাম। এ ছাড়া অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের মদিনা গ্রাম, বান্দাখালী গ্রাম, মুন্সি গ্রাম, মোল্লা গ্রাম, আদর্শগ্রাম ও ইউনিয়নের ১, ২, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ড।
হাতিয়া উপজেলা সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি) কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পূর্ণিমার প্রভাব এক হয়ে যাওয়ায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
হাতিয়ার ইউএনও ইমরান হোসেন বলেন, ‘অস্বাভাবিক জোয়ারে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। ১৮২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।’
এএএম/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন