• ঢাকা শনিবার
    ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২, ০৮:১৭ পিএম

কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

ফজলুল করিম, কুড়িগ্রাম

ভোর থেকেই বয়ে চলা হিমেল হাওয়া ও বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া কুয়াশায় হিম হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের জনপদ। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা বাজলেও নেই সূর্যের দেখা। এ অবস্থায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা- খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। গরম কাপড়ের অভাবে শিশু ও বয়োবৃদ্ধের কষ্টটা দিনে দিনে বেড়েই চলছে।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার (জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দিনে দিনে আরও কমতে পারে। আকাশে ঘন মেঘ কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে আসতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।


প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় গরু ছাগলসহ বিভিন্ন গবাদি পশুরাও পড়েছে অতি কষ্টে। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটছে জেলার অসহায় মানুষজনের। উপায়ন্ত না পেয়ে সাময়িক উষ্ণতা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।

এ ছাড়া ঠাণ্ডাজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধরা।বিশেষ করে নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, পাতলা পায়খানা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কদমতলা এলাকার সবুর মিয়া জানান, এই ঠাণ্ডায় ছোট ছোট দুইটা বাচ্চাকে নিয়ে খুবই সমস্যায় পড়েছি। শীতে হাত পা ঠাণ্ডায় হিম হয়ে আছে। ঠিকমতো কাজ করতে না পারছি না। নিয়মিত কাজ না করলে সংসার চালানোয় মুশকিল, বাচ্চাদের গরমের কাপড় কেনার টাকা পাব কই?


চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সরকারিভাবে ২ হাজার আটশ ১৫টি কম্বল পেয়েছি তা বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল কেনার জন্য আরও ১০ লাখ টাকা পেয়েছি সেটাও বিতরণ করা হবে।’

কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার জানান, শীতে জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৫ হাজার সাতশ কম্বল ও ১ কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এগুলো প্রতি উপজেলায় বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি সংগঠন মুসলিম এইড ২ হাজার সাতশ কম্বল বিতরণ করবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তবে এই বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে জেলায় বয়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

জেডআই/ডা

আর্কাইভ