বাগেরহাট প্রতিনিধি
ইয়াসের প্রভাবে ফুঁসে উঠেছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে নদ-নদী। এতে বেড়িবাঁধ উপচিয়ে পানি প্রবেশ করছে বাগেরহাট জেলায়। পানিতে তলিয়ে গেছে জেলা শহর, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলায় বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা অন্তত ২৫টি গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি। এসব গ্রামে ২-৩ ফুট পর্যন্ত পানি উঠেছে।
প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাট শহরের রাস্তাঘাটও। তলিয়ে গেছে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজার। মোংলা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কসহ নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। রাতের জোয়ারে আরও বেশি পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় হুমকির মুখে রয়েছে জেলার হাজার হাজার চিংড়ি খামার।
মোংলা বন্দরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব না পড়লেও জাহাজগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে পণ্য ওঠানামা।
এ দিকে ইয়াসের প্রভাবে পানি উঠেছে সুন্দরবনে। ম্যানগ্রোভ এই বনের দুবলা ৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সুন্দরবনের সবচেয়ে উঁচু এলাকা করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রেও পানি উঠেছে।
সুন্দরবনের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় মুঠোফোনে জানান, এখনও সুন্দরবনের দুবলা ৫ ফুট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। দুবলায় সকাল থেকেই প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টিও হচ্ছে। দুবলা টহল ফাঁড়ির ১০ জন স্টাফ দুবলা সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। সুন্দরবনে অন্যান্য বন অফিসের সদস্যরাও সুন্দরবনের কোস্টগার্ডের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ‘করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে এক থেকে দেড় ফুট পানি উঠেছে। আরও এক ফুট পানি উঠলেও এই প্রজনন কেন্দ্রের বন্যপ্রাণী হরিণ, কুমির ও বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুল বাচকা রক্ষা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। পানি আরও বাড়লে বণ্যপ্রাণীগুলোর কী আবস্থা হবে তা বলা সম্ভব নয়।’
এএএম/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন