• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

শীতে বেড়েছে সিদ্ধ ডিমের কদর

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২১, ০৪:৫৮ পিএম

শীতে বেড়েছে সিদ্ধ ডিমের কদর

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি

উত্তরের জেলা গাইবান্ধা। নদীবেষ্টিত জেলায় এক সপ্তাহ ধরে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের দাপটে কদর বেড়েছে সিদ্ধ ডিমের। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ডিমের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ডিমের ব্যবসা।

গাইবান্ধার শহরসহ উপজেলা শহরে দেখা যায়- সিদ্ধ ডিম বিক্রির হিরিক। সময় অনেকে বন্ধুবান্ধব নিয়ে ডিম খেতে মেতে উঠেছেন। কেউ খাচ্ছেন ব্রয়লারের ডিম আবার কেউ কেউ দেশি মুরগি বা হাঁসের ডিম।

জানা যায়, গাইবান্ধায় শীতকালীন সময়ে কাঁচা সিদ্ধ ডিমের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে  বছরে এর কদর বেড়েছে দ্বিগুণ। গত কয়েক দিনের উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে শীতে তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় যবুথবু অবস্থায় মানুষেরা। এই শীতের অন্যান্য মুখরোচক খাবারের পাশাপাশি অনেকে ঝুঁকে পড়েছে সিদ্ধ ডিম খেতে। তাই বিভিন্ন শহর হাট-বাজারের মোড়ে মোড়ে ডিমের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। প্রতি পিস সিদ্ধ ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ১০ টাকা দামে। আর এই ডিম বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা।

ডিম খেতে আসা ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘শীত যত বাড়ে সিদ্ধ ডিমের স্বাদও তত বাড়ে। শীতকালে এই ডিম খেতে বেশ মজাদার। জন্য দৈনন্দিন এক থেকে দুটি সিদ্ধ করা ডিম খেয়ে চলেছি।

সাদুল্লাপুর চৌমাথা মোড়ের ডিম বিক্রেতা সাইদুর রহমান জানান, বছরজুড়ে দোকান থেকে কাঁচা ডিম খুচরায় বিক্রি করেন। কিন্তু শীত পড়লে বদলে ফেলেন ডিম বিক্রির চিত্র। সময়ে গ্যাসের চুলায় হাঁড়িতে সিদ্ধ করা হয় ডিম। সেগুলো বিক্রি করা হয় ক্রেতা সাধারণের কাছে।

তিনি আরও জানান, সরাসরি ফার্ম থেকে টাকা পিস দামে কেনা হয় কাঁচা ডিম।  সেটি সিদ্ধ করে বিক্রি করা হয় ১০ টাকা দামে। প্রত্যেক দিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ ডিম সিদ্ধ করে বেচা হয়। এতে গ্যাস, লবণ, মরিচ খরচ বাদে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা লাভ থাকে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নুরনবী মিয়া জানান, সিদ্ধ ডিমের মধ্যে নানান ধরনের উপকারিতা রয়েছে। এটি নিয়মিত খাওয়া ভালো। খেলে শরীরের বাড়তি ক্যালরি যোগ হয়।

নূর/এম. জামান

আর্কাইভ