প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২১, ১২:৪৪ এএম
চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে গরম পোশাকের চাহিদা। সন্ধ্যা ও রাতে জেঁকে বসেছে পৌষের শীত। শীত থেকে রক্ষা পেতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন শহরের অভিজাত মার্কেটসহ ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
চুয়াডাঙ্গার
শহরের সমবায় নিউমার্কেট, আব্দুল্লাহ সিটি, প্রিন্সপ্লাজা, পুরাতন গলির মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট এবং ফুটপাত মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে গরম কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেক রকম বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও রাস্তার পাশের এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে মৌসুম ভিত্তিক দোকানগুলোতে শীতের কাপড় বিক্রি চলছে পুরোদমে।
অভিজাত মার্কেটগুলোতে সোয়েটারের দাম বেশি হলেও ফুটপাতের দোকানে একটি সোয়েটারের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, শিশুদের কাপড় ৪০ থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত, মাফলার ৫০ থেকে ১৫০ টকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করছে নিম্নবিত্ত দরিদ্র মানুষেরা।
ক্রেতারা জানান, শীত বাড়লেই পরিবারের সবার জন্য শীতের পোশাক ক্রয় করা লাগে। অভিজাত মার্কেটগুলোতে পোশাকের যে দাম তাতে আমাদের পক্ষে ক্রয় করা সম্ভব হয় না। তাই অল্প টাকায় বেশি পোশাক কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলো থেকেই কিনতে হয়।
ফুটপাতের কয়েকজন শীতবস্ত্র বিক্রেতা জানান, এখানে সব বয়সী মানুষের পোশাক বিক্রয় হচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয় এবং শীত কম হলে বেচাকেনা কম হয়। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, শিশুদের কাপড় পাওয়া যায়, সেগুলোর দাম তুলনামূলক একটু কম হয়। কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না। দরকষাকষির মাধ্যমে কিনতে হয়। পোশাকের দাম একটু বেশি করে চাওয়া হয়।
নূর/এম. জামান