
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২১, ১১:৩১ পিএম
লিটন হোসেন লিমন, নাটোর প্রতিনিধি
বড়াল
নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে
উঠেছে এক ব্যতিক্রমী ‘ইউএনও
পার্ক’। পার্কের সঙ্গে
রয়েছে নদীতে রেল ও সড়কের
গার্ডার ব্রিজ। এতে পার্কটিকে সৌন্দর্য
বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ। দেখে মনে হবে
এ যেন এক ‘স্বপ্নরাজ্য’।
বুধবার
(২৯ ডিসেম্বর) নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বড়াল নদীর পাড়ে
পার্কটি উদ্বোধন করেন নাটোর-১
(লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মো. শহীদুল ইসলাম
বকুল।
বাগাতিপাড়া
উপজেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বেশ জনপ্রিয় এই
পার্কটি। এক সময় এ
স্থানে মাদকের আড্ডা, অসামাজিক কার্যকলাপসহ নানা অপকর্মে ভরপুর
ছিল। প্রশাসনের উদ্যোগে নতুনভাবে সংস্কার করা হয় পার্কটিকে।
সংস্কার ও আধুনিকায়ন ছোঁয়ায়
পাল্টে গেছে পুরো চিত্র।
নতুন বছরে বিনোদনের এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিনোদনপ্রেমীদের জন্য পার্কের ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে বেশ কিছু স্ট্যাচু। সিংহ, মাছ মুখে ঈগল, ব্যাঙ, দোয়েল, হরিণ, বক, ময়ূর, কুমির, শাপলা ফুলের ভাস্কর্যসহ নানান বৈচিত্র্য আনা হয়েছে পার্কটিতে। এ ছাড়াও রাখা হয়েছে পানির ফোয়ারা, এর নিচে রঙিন মাছ। অপর পাশে রয়েছে বিশাল ডাইনোসর। তার পাশেই রয়েছে শিশুদের জন্য নাগরদোলা এবং দোলনা। সীমানা প্রাচীরজুড়ে বিভিন্ন প্রাণীর আঁকানো ছবি শিশুদের বিনোদনের খোরাক জোগাবে। মাঝে মাঝে খেজুরগাছের গোড়ায় বসার জন্য রয়েছে ব্যবস্থা। তাছাড়া বিভিন্ন ফুল এবং সৌন্দর্যবর্ধক গাছ লাগানো হয়েছে। অন্যদিকে বড়াল নদীতে রাখা হয়েছে প্যাডেল বোট। যেন গ্রামের মধ্যে এক স্বপ্নরাজ্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দেবী পালের সভাপতিত্বে
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গকুল।
এ বিষয়ে প্রিয়াংকা দেবী পাল সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ‘সুস্থ বিনোদনের জন্য পার্কটিকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। কিছুদিন আগেও পার্কে মাদকসহ অসামাজিক কার্যকলাপ হতো। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যক্তির সমন্বয়ে চুক্তির মাধ্যমে পার্কটি নতুনভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। টিকিটের মাধ্যমে পার্কে সবাই প্রবেশ করতে পারবে। এতে করে সরকারি কোষাগারে অর্থ যোগ হবে।’
স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শহীদুল ইসলাম
বকুল সিটি নিউজ ঢাকাকে
বলেন, ‘সুস্থ বিনোদনে এক নতুন মাত্রা
শুরু হলো। এটি বিনোদনের
মাধ্যমে এলাকার মাদকাসক্ত থেকে যুবসমাজকে
বিরত রাখবে বলে আমি আশা
করছি। শিশু-কিশোর থেকে
শুরু করে সবাই অবসর
সময়ে ঘুরতে আসবে। ধীরে ধীরে এ
পার্কের আরও সংস্কার করা
হবে।’
নূর/এম. জামান