প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২১, ১০:১৫ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধায় তিন দিনের
মাথায় আবারও বন্ধ কসবা ও সালদা রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ। রোববার (২৬ ডিসেম্বর)
বিকেল থেকে বিএসএফের বাধায় পুনরায় কাজ বন্ধ রেখেছে টেন্ডার পাওয়া তমা কন্সট্রাকশন।
উল্লেখ্য, শূন্যরেখার দেড় শ’ গজের ভেতর কাজ হচ্ছে এমন
অজুহাতে বিএসএফের বাধার মুখে গত ৪ এপ্রিল থেকে বন্ধ ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা এলাকার ৩টি পয়েন্টের কাজ।
পরে দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর দুই দেশের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে জটিলতা নিরসনে
আলোচনা হলে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে
শুরু হয় কসবার রেলস্টেশন, সালদা নদী ব্রিজ ও সালদা নদী স্টেশনের কাজ। কাজ
শুরু হওয়ার তিন দিনের মাথায় পুনরায় কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদী রেলস্টেশন নির্মাণের
কাজে বিএসএফ বাধা দিলে কাজ বন্ধ রাখেন তমা কন্সট্রাকশনের লোকজন। তবে সালদা নদী
ব্রিজের কাজে কোনো বাধা দেয়নি বিএসএফ।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিভিল ডিপার্টমেন্টের প্রকৌশলী
সোহেল রানা বলেন, 'দীর্ঘ নয় মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (২৪
ডিসেম্বর) থেকে কাজ শুরু হলেও রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে বিএসএফের ফের বাধায় এবং
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আবারও তিনটি পয়েন্টের মধ্যে দুটি পয়েন্টের কাজ বন্ধ
রাখা হয়েছে। শুধু সালদানদী সেতুর কাজের অনুমোদন বিএসএফ হাতে পেয়েছে। কসবা রেলস্টেশন ও সালদানদী রেলস্টেশনের কাজের কাগজ হাতে না পাওয়ায় এ দুটি বন্ধে পুনরায়
বাধা দিয়েছে বিএসএফ।'
এ বিষয়ে তমা গ্রুপের কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র ভৌমিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ
করা হলে তিনি বলেন, 'গত শুক্রবার থেকে কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত
রোববার বিকেলেই বিএসএফ বাধা দেয়ায় বিজিবির লোকজন তাদের কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। তাই
গত রোববার বিকেল থেকে পুনরায় বন্ধ রাখা হয়েছে।'
৬০ বিজিবির অধীন কসবা বিওপির কোম্পানি কমান্ডার হারুনুর রশিদ বলেন, 'বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত রোববার সন্ধ্যায় তিনি তমা গ্রুপের স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছেন। এরপর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া কসবা স্টেশন ও সালদানদী স্টেশনে কাজ শুরু করার বিষয়ে সীমান্তের ওপারের বিএসএফ অধিনায়কও ভারত সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা পাননি।'
অর্ণব/এম. জামান
