প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ১০:১৮ পিএম
কক্সবাজারের হোটেলে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ইসরাফিল হুদা জয় নামে আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে অভিযান চালিয়ে চকরিয়া বাস স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জয়
কক্সবাজার শহরের শফি উদ্দীনের ছেলে
এবং ঘটনার মূল হোতা আশিকের সহযোগী।
মঙ্গলবার
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে
এসব তথ্য জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মুসলিম।
তিনি
বলেন, ‘এই পর্যন্ত মূল
অভিযুক্ত আশিকসহ এজাহারনামীয় তিন এবং ভুক্তভোগী
নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরও তিনজনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে।’
মো.
মুসলিম জানান, ‘এই ঘটনায় গ্রেফতার
জিয়া গেস্ট ইন ম্যানেজার রিয়াজ
উদ্দিন ছোটন চার দিন এবং
অন্য তিন আসামি দুই দিনের
রিমান্ডে রয়েছে।
তারা
হলেন- কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার রেজাউল করিম শাহাবুদ্দিন (২৫),
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার উলুবনিয়া এলাকার মামুনুর রশীদ (২৮) ও কক্সবাজার
শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান (২১)।
মামলায়
এই পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে।
এর
আগে ঘটনার পরদিনই র্যাবের হাতে
গ্রেফতার হন মামলার এজাহারভুক্ত
আরেক আসামি হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের
ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
ভুক্তভোগী
নারীর অভিযোগ, গত ২২ ডিসেম্বর
শহরের কবিতা চত্বরের রোডসংলগ্ন এক
ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে
তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে
সেখান থেকে ওই নারীকে
নিয়ে যাওয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন
নামের আবাসিক হোটেল। দ্বিতীয় দফায় সেখানেও তিনি
ধর্ষণের শিকার হন।
এ
ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর চারজনের
নাম উল্লেখ করে ও দু-তিনজনকে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করে মামলা করেন
ভুক্তভোগীর নারীর স্বামী।
এদিকে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া
সেন্টারে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন
ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান,
ধর্ষণের শিকার পর্যটক তার হৃদরোগে আক্রান্ত
আট মাসের শিশুর চিকিৎসার জন্য দেশি-বিদেশি
পর্যটকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয়
অর্থ জোগাতে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারে যান। পর্যটকদের কাছ
থেকে অর্থ জোগানোর বিষয়টি
জেনে তাদের কাছে ৫০ হাজার
টাকা চাঁদা দাবি করেন গ্রেফতারকৃত
ধর্ষক আশিক ও তার
সহযোগীরা। অর্থ না দেয়ায়
ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী।
নূর/ডা