প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২১, ০৫:৪৩ পিএম
চতুর্থ ধাপে রংপুরের বদরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ। মাঠের প্রচার-প্রচারণা শেষে এখন ব্যালট যুদ্ধে জয়ী হতে অপেক্ষা করছেন প্রার্থীরা। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। বদরগঞ্জ উপজেলার ১০ ও গঙ্গাচড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নেও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা বেষ্টনীর চাদরে ঢাকা হয়েছে দুই উপজেলা।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিন গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের পেউলাদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোটাররা সারিবদ্ধভাবে ভোট প্রদান করছেন। কথা হলে নাজমুল ইসলাম নামে এক ভোটার সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, 'সকাল সকাল এসেছি ভোট দিবার। ভোট দিয়ে কামোত যামো।’
বিধু রানী রায় নামে এক মহিলা ভোটার বলেন, ‘ভোট আসলে মনে হয় যেন হামার এটে উৎসব নাগছে। হামার মেম্বার প্রার্থী ভ্যান পাঠে দিছিল এলাকাত। সেই ভ্যানে চরি ভোট দিবার আলছি, কোনো সমস্যা হয়নি।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০১ জন প্রার্থী দলীয় ও বিভিন্ন প্রতীকে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য (পুরুষ) পদে ৭০৩ এবং সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে ২৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রংপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ফরহাদ হোসেন জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনছার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১ হাজার ১৬৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ২ হাজার ৩৩২ জন পুলিং অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও দুই উপজেলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি র্যাব ও এপিবিএন সদস্যরা প্রতিটি ইউনিয়নে টহল দেবেন বলেও জানান তিনি।
জেডআই/এম. জামান