প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২১, ০৫:৫০ পিএম
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ঢাকা থেকে
বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়
বেঁচে ফেরা এক যাত্রী পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, 'অনেকেই লঞ্চ থেকে
লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। যাত্রীদের ধারণা হতাহতের সংখ্যা অনেক। তবে কেউ এখনও নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।' ওই যাত্রী বলেন, 'পোড়া গন্ধ পেয়ে
আমি ভিআইপি কেবিন থেকে বেড়িয়ে এসে দেখি লঞ্চে আগুন লেগেছে। তখন আমার স্ত্রী,
শ্যালক নিয়ে নদীতে ঝাঁপ
দিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নদী সাঁতরে তীরে উঠেছি। লঞ্চ ভাসতে ভাসতে কোথাও গিয়ে থেমেছে।
তবে এটুকু বলছি, লঞ্চের কোনো অংশ
পোড়ার বাকি নেই।'
লঞ্চের যাত্রী সাইদুর রহমান জানান, তিনি ঢাকা থেকে বরগুনা ফিরছিলেন। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান
সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে
পড়ে পুরো লঞ্চে।
রাত ৩টা থেকে আগুন জ্বলতে থাকে। যাত্রীরা অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে
তীরে উঠতে পেরেছেন। অনেকে হয়তো পারেননি। সাইদুর রহমান নামের এই যাত্রী বলেন,
লঞ্চে শিশু, বুড়ো, নারীসহ কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল।
সর্বশেষ তথ্য মতে, শুক্রবার সকাল
সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর আগে ঢাকা
থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লঞ্চটিতে রাত ৩টার দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।