• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

কুড়িগ্রামে শিশুদের ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২১, ০৩:৪০ এএম

কুড়িগ্রামে শিশুদের ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কয়েক রাউন্ডের প্রতিযোগিতা শেষে কাঙ্খিত ফাইনালে তিনটি ঘোড়া। তিনটি ঘোড়ার পিঠে তিন শিশু জকি। শাকিল (১০), জসিম (৯), ও রশিদুল (১১)। বাঁশি বাজতেই দৌড় শুরু হতে হতে দর্শকের উল্লাসে মুখর প্রতিযোগিতার মাঠ। কখনও ইসমাইলের ঘোড়া সামনে আবার কখনও লতিফের ঘোড়া সামনে। অবশেষে ৫ বার প্রদক্ষিণ শেষে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার লতিফ (১০)।

২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলার হলোখানা ইউনিয়নের মাস্টারের হাট এলাকায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার দৃশ্য এটি। প্রতিযোগিতায় কদম দৌড় এবং দাপট দৌড় এই দুই ধাপের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী মোট ছয়জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

আয়োজিত ফাইনাল অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম ২ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবা বেগম লাভলী, পেনডেল হ্যাম এন্ড বেকন গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার আবুল শামসুদ্দোহা এবং কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক।

এই দিন প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত কদম দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে জেল হক জেদ্দার, বাদশা ও বাবলু। তাদের যথাক্রমে এলইডি টিভি, খাসি এবং মোবাইলফোন পুরষ্কার দেয়া হয়। এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে অর্থমূল্য পুরষ্কার হিসেবে দেয়া হয়।

দ্বিতীয় ধাপের মূল আকর্ষণ দাপট দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে শাকিল (১০), জসিম (৯), ও রশিদুল (১১)। তাদের যথাক্রমে গরু, বাই সাইকেল এবং মোবাইলফোন পুরষ্কার হিসেবে দেয়া হয়। এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে অর্থমূল্য পুরষ্কার হিসেবে দেয়া হয়।

দাপট দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করা শাকিলের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার খোঁচাবাড়ি গ্রামে। সেই ওই গ্রামের আজিজুল হকের পুত্র। পাঁচ বছর বয়স থেকেই সে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত বলে জানায় তার সঙ্গে আসা পরিবারের এক সদস্য। দারিদ্রতা কারনে একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করা হয়নি বলে জানায় শাকিল।

আয়োজক কমিটির সদস্য সাজু আহমেদ জানান, গত বছরের ধারাবাহিকতায় এই বছর মোট তিন দিন ধরা চলা প্রতিযোগিতার আজকে শেষ দিন ছিলো। আজকের ন্যায় প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়াও দেশের আলোচিত ঘোড়সওয়ারী তাসমিনার প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণ দর্শকদের মধ্য বাড়তি উৎসাহ যোগ করেছে।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রতিযোগিতা দেখতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, টানা তিন দিনের প্রতিযোগিতা বেশ উপভোগ্য ছিলো। বিশেষ করে শিশুদের অংশগ্রহণে আরও বেশি জমে উঠেছে এই আয়োজন।

জেডআই/

আর্কাইভ