প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২১, ১২:৩৬ এএম
পারিবারিক কলহের জের ধরে ৮
মাস বয়সী শিশুসন্তান
ও স্বামী সোহেল রানাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার
চেষ্টা করেন শারমিন খাতুন
নামের এক গৃহবধূ। এ
ঘটনায় ওই গৃহবধূকে কারাগারে
পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার
(১৮ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের রৌমারীর দাঁতভাঙা ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর মধ্যপাড়া শালুর মোড় নামক স্থানে
এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ
ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার
কাউনিয়ার চর মধ্যপাড়া গ্রামের
সাহেব মিয়ার ছেলে সোহেল রানার
(২৬) সঙ্গে শৌলমারী ইউনিয়নের বাউসমারী গ্রামের সাহাজুদ্দীনের মেয়ে শারমিন খাতুনের
(২০) গত দুই বছর
আগে বিয়ে হয়। বিয়ের
পর থেকে তাদের দাম্পত্য
জীবন ভালোই চলছিল। তাদের ঘরে শান্ত মিয়া
নামের (৮ মাস) বয়সের
ছেলে সন্তানও রয়েছে। কয়েক দিন
ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে
পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এরই জের
ধরে শনিবার বিকেলের দিকে গৃহবধূ শারমিন
তার সন্তান শান্তকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের
বিভিন্ন অংশে আঘাত করতে
থাকে। পরে তার স্বামী
সোহেল রানা সন্তানকে বাঁচাতে
এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরে আশপাশের লোকজন
এগিয়ে এসে সোহেল রানা
ও ওই শিশুকে আহত
অবস্থায় উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে
ভর্তি করেন।
আহতদের
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড
করেন। এ ঘটনায় গ্রামবাসী
গৃহবধূ শারমিন খাতুনকে আটক
করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এ
বিষয়ে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ
বলেন, ‘গৃহবধূ শারমিন খাতুনকে মামলা দিয়ে রোববার (১৯
ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ
করা হয়েছে।’
নূর/এম. জামান