
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১, ০৩:৩৮ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
নবীনগরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী
এরশাদুল হক (৩৫) মারা গেছেন। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার
পর ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এর আগে তার সমর্থক বাদল
সরকারের (২৩) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গুলির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দুজনে দাঁড়াল।
নিহত এরশাদুল হক উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে এবং আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন। নিহত বাদল একই ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বার্ধক্যজনিত কারণে প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবুল কাশেমের স্থলে তার ছেলে এরশাদুল হক চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বাজার এলাকায় ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এরশাদ ও বাদলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে সেই মাহফিলে যান। ওয়াজ মাহফিলে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপস্থিত সবার কাছে দোয়া চান তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বাদল এবং তার পেছনে বসা ছিলেন এরশাদ।
ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়লে সামনে চালকের আসনে বসা বাদল প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। একই সঙ্গে এরশাদকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত এরশাদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠান। তবে ঢাকায় পৌঁছানোর আগেই গাড়িতে এরশাদুলের মৃত্যু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাদলের পর এরশাদও ঢাকায় নেয়ার পথে মারা গেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ছাড়া নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশীদ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নাটঘরে আছেন। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
জেডআই/ডা