• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

ধামরাইয়ে ঢাবি ছাত্রী এলমা হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১, ০৩:২১ এএম

ধামরাইয়ে ঢাবি ছাত্রী এলমা হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সাভার প্রতিনিধি

ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী এলমা হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ধামরাইয়ের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা৷ 

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মানববন্ধনে এলমার বাবাসহ আত্মীয়স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে মেয়ে হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'আমার মেয়ে খুন হয়েছে। তাকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বিয়ের পর তার স্বামী এবং শশুরবাড়ির লোকজন এলমাকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বলে। এলমা পড়া বন্ধ করতে না চাওয়ায় ইফতেখার ও তার মা–বাবা মিলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো।'

তিনি আরও বলেন, 'রক্ষণশীল এক প্রবাসী ব্যক্তির সঙ্গে ফেসবুকে পরিচিত হয়ে ঘরোয়াভাবে ইলমার বিয়ে হয়৷ তারা বিয়ের পর আমার মেয়েকে ঘরে আটকে রাখতো। এসব কারণে আমরা আমাদের মেয়েকে ডিভোর্সের কথা বলেছিলাম। কিন্তু সে নির্যাতন সহ্য করেও সংসার করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু তারা আমার মেয়েকে বাঁচতে দিলো না। আমি এই পাষণ্ড খুনীদের বিচার চাই।'

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নডানা পরিবারের সভাপতি ও এলমার ফুপাতো ভাই শাহরিয়ার ফেরদৌস রানা বলেন, 'আমার বোনের শরীরের জখম দেখে চমকে গেছি, সারা শরীরে অসংখ্য ছোপ ছোপ দাগ ছিল৷ এমন নৃশংস হত্যার বিচার চাই।'

প্রথম আলোর সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ও ধামরাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি মাহমুদ ইকবাল বলেন, 'এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। এলমার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে মানসিকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছে। এটি খুবই মর্মান্তিক। আমরা এর দ্রুত তদন্তের দাবি রাখি। এই হত্যাকারীরা সমাজের দুর্বৃত্ত, এরা সাধু সাজার চেষ্টা করে। এই ধরনের অপমৃত্যু বন্ধ হোক।'

ধামরাই সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন বলেন, 'আমাদের এ ঘটনার সম্পর্কে সোচ্চার হয়ে থাকতে হবে, কারণ আমরা জানি এমন অনেক ঘটনায় প্রভাবশালী লোকদের প্রভাবের ফলে তার সুষ্ঠু বিচার পাওয়া যায় না৷ আমরা এলমার পরিবারের পাশে আছি ৷ তাদের সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই৷ তবে তার বিচার দাবিতে আমরা তাদের সঙ্গে আছি৷ বিচার না হলে আমরা ধামরাইবাসী আরও কর্মসূচি পালন করব।'

উল্লেখ্য, গত (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান এলমা। তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বলছেন এলমা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন এলমার পরিবার। পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এআরআই/এএমকে

আর্কাইভ