ভোলা প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' শক্তি বাড়িয়ে প্রবল রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, বুধবার (২৬ মে) দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে এটি। ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টি নিজের প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে দ্বীপ জেলা হিসেবে খ্যাত ভোলার নিম্নাঞ্চল।
ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে নদী ও সাগর। অতি জোয়ার দেখা দিচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। ইতোমধ্যে জোয়ারের পানিতে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কুকরি-মুকরি, ঢালচর ও চরপাতিলাসহ বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত দুই হাজার মানুষ।
এ দিকে পানির উচ্চতা বাড়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার বলেন, 'নদী ও সাগর উত্তাল রয়েছে। জেয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো ইউনিয়ন। এতে ৭০০-৮০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।'
কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, অতি জোয়ারে পুরো কুকরি-মুকরি এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট, মাছের ঘেরসহসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তলিয়ে গেছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাত থেকে মানুষের জীবন ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় জেলার ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩৫টি মুজিব কিল্লা তৈরি রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলার ৪০টি দ্বীপচরকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে সেখানকার তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এএএম/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন