• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

শেরপুরে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, আটক ২

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২১, ০১:০১ এএম

শেরপুরে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, আটক ২

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে মো. আব্দুল খালেক (৫২) নামে সার্কিট হাউজের এক কর্মচারীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে অপহৃত আব্দুল খালেককে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, দু‌টি ওয়াকিটকি, চার্জার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মাগুরা সদর উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হচ্ছেন- মাগুরা সদর উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার আনসার মোল্লার ছেলে মো. ইয়াসিন আলী (২৫) ও একই এলাকার নায়েব আলী শেখের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৩)। এ ঘটনায় সদর থানায় বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আব্দুল খালেক বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। অন্য দুই আসামি হচ্ছেন- একই জেলার মো. শিপন (২৬) ও মো. সোহেল (২৮)। ওই মামলায় আটককৃত দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পুলিশ ও অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ ডিসেম্বর শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া এলাকার বাসিন্দা ও শেরপুর সার্কিট হাউজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আব্দুল খালেক বাড়ি থেকে বের হয়ে ভোর ৪টায় নবীনগর বাস টার্মিনাল থেকে মুনিমুক্তা বাসযোগে ঢাকায় যান। ঢাকায় পৌঁছে আব্দুল খালেক মগবাজার যাওয়ার পর ইয়াসিন তাকে ফোন করে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। পরে সেখানে ইয়াসিন ও জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন আব্দুল খালেককে একটি গাড়িতে জোর করে উঠিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে এবং নির্যাতন শুরু করে। সেখান থেকে তাকে মাগুরা জেলায় নিয়ে একটি ভবনের দুতলায় রেখে নির্যাতন চালায় এবং ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে খালেকের পরিবার প্রথমে ৫০ হাজার ও পরে আরও ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে অপহরণকারীদের কাছে পাঠায়।

এদিকে ওই ঘটনায় খালেকের পরিবার থানায় একটি জিডি করার পর পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুবায়ের খালিদ অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে র‌্যাবের সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে অপহৃত আব্দুল খালেককে উদ্ধার এবং অপহরণকারী ইয়াসিন ও জাহাঙ্গীরকে আটক করে পুলিশ।

অপহৃত আব্দুল খালেক জানান, আমি একজন নিরীহ মানুষ। আমাকে তারা অপহরণ করে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে ও মুক্তিপণ নিয়েছে। যদি সেদিন পুলিশ ও র‌্যাব আমাকে উদ্ধার না করত তারা আমাকে মেরে ফেলত। আমি অপহরণকারীদের কঠোর শাস্তি চাই।

এ ব্যাপারে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বন্দে আলী মিয়া জানান, ওই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

জেডআই/এম. জামান

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ