প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২১, ১১:৫১ পিএম
নির্বাচনে প্রতিপক্ষের বিজয় মেনে নিতে
পারেননি। তাই নির্বাচিত
ওয়ার্ড সদস্যসহ একে একে ৩
খুন করেন। অবশেষে এই ত্রিপল মার্ডারের
অন্যতম আসামি শফিকুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে
রংপুর সিআইডি।
মঙ্গলবার
(১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর কেরানীপাড়ায় সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির পুলিশ সুপার আতাউর রহমান এ তথ্য জানান।
আটক শফিকুল ইসলাম গঙ্গাচড়া উপজেলার চর বাগডহরা গ্রামের
আজবার আলীর ছেলে। এর
আগে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) রংপুর
নগরী থেকে তাকে আটক
করা হয়।
সংবাদ
সম্মেলনে আতাউর রহমান জানান, রংপুরের গঙ্গাচড়া
উপজেলার লোহালী ইউনিয়নের বাগডোহরা গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিগত নির্বাচনে ইউপি সদস্য আজিজুল
ইসলাম বিপুল ভোটে সদস্য
নির্বাচিত হন। বিষয়টি তার
প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল ইসলাম গং মেনে
নিতে পারেনি। তখন থেকেই তাকে
হত্যা করার পরিকল্পনা করা
হয়।
সিআইডি
পুলিশ সুপার জানান, নির্বাচনের দীর্ঘদিন
পরে চলতি বছরের গত
৬ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে
ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম স্থানীয় আনন্দ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার
পথে শফিফুল ইসলামের নেতৃত্বে আজিজুল ইসলামকে আক্রমণ করা হয়।
আজিজুল
ইসলাম দৌড়ে পার্শ্ববর্তী মমিন
আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে খুনিরা ওই
বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে টেনেহেচড়ে বাইরে এনে কুপিয়ে হত্যা
করে। এরপর আজিজুল ইসলামের
সমর্থক রেয়াজুল ইসলামকে তার বাড়িতে ঢুকে
টেনেহেচড়ে বাইরে এনে জবাই করে
হত্যা করে। হত্যাকাণ্ড দুটি
দেখে ফেলায় খুনিরা নিহত আজিজুল ইসলামের
ভাতিজি ১১ বছরের শিশু
কন্যা মোনালিসাকে ঘটনার ৪ মাস পর
হত্যা
করে। ওই ঘটনায় দুটি
মামলা হয়েছে। মামলায় বেশ কজন আসামি
হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে।
তিনি
আরও জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রংপুর সিআইডিকে মামলাগুলোর তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত
করতে গিয়ে ত্রিপল মার্ডার
মামলার আসামি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া শফিকুল
ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তার
দেয়া তথ্যমতে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১৩টি বল্লম, দুটি
ছোড়া ও একটি হাঁসুয়া
উদ্ধার করা হয়েছে।
নূর/ডা