প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২১, ০৭:২০ পিএম
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে (৩৭)
বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা
মামলায় ১৩ আসামিকে ১০
বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ
দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০
হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে
তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার
(১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে
নোয়াখালীর নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ মামলার রায়
ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত
আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন দেলু, মোহাম্মদ আলী ওরফে আবুল
কালাম, আনোয়ার হোসেন সোহাগ, সামছুদ্দিন সুমন, রাসেল, মাইন উদ্দিন সাজু,
ইস্রাফিল হোসেন মিয়া, মো. রহিম ও
নুর হোসেন বাদল।
বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর মামুনুর রশীদ লাভলু।
এর
আগে, ৯ আসামিকে ব্যাপক
নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল ১০টার দিকে
কারাগার থেকে আদালতে আনা
হয়।
গত
বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে
বেগমগঞ্জের দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুসহ ১৪-১৫ জনের একদল
দুর্বৃত্ত জোর করে ওই
নারীর ঘরে প্রবেশ করেন।
তারা ঘরে থাকা নারী
ও তার স্বামীকে মারধর,
নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা
এবং পুরো ঘটনার ভিডিও
চিত্র ধারণ করেন। একপর্যায়ে
ঘটনার ৩২ দিন পর
ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।
এ
ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে
২০২০ সালের ৪ অক্টোবর দেলোয়ার
বাহিনীর ৯ জন সদস্যের নাম
উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ থানায়
মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো
অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে স্থানীয়
ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে
১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
গঠন করে বিচার শুরু
করেন আদালত। পলাতক চার আসামিরা হলেন-
আবদুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর
রহমান, জামাল উদ্দিন ও মিজানুর রহমান
তারেক। তাদেরকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার
কাজ চলে।
আদালত
সূত্রে জানা গেছে, গত
১ মার্চ মামলায় মোট ১৩ জনকে
অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র
দাখিল করেছে পিবিআই। অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জন আসামি
জেলহাজতে রয়েছেন এবং চার আসামি
পলাতক রয়েছেন। গত এক বছরে
আদালত বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে ৩০ কার্যদিবসে
শুনানি শেষে এ মামলার
রায় ঘোষণা করেন।
এ
ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষণ,
নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে
তিনটি মামলা করেন নির্যাতিত নারী।
তিনটি মামলার মধ্যে ৪ অক্টোবর ধর্ষণের
মামলায় দেলোয়ার ও আবুল কালামের
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। আর
বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায়
দায়ের করা নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার
রায় আজ দেয়া হয়।
নূর/এম. জামান