প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২১, ০৬:৫০ পিএম
ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে এমভি
কুয়াকাটা ২ নামের যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ থেকে শারমিন আক্তার (২৬) নামে এক তরুণীর
লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় লাশ উদ্ধার করে
ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শারমিন রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকার কুনিপাড়ার বাসিন্দা এনায়েত ফকিরের মেয়ে।
লঞ্চের ঘাট ম্যানেজার নাসির উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে দুই তরুণ-তরুণী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি কেবিন ১৮শ’ টাকায় ভাড়া নেন। রাত ৯টায় লঞ্চটি ছাড়ার সময়ও তারা একসঙ্গে কেবিনে ছিলেন। ভোর ৫টায় লঞ্চ বরিশাল ঘাটে নোঙর করে। এরপর ডেক ও কেবিনের যাত্রীরা নামতে থাকেন। কিন্তু ৮টার পরও ওই কেবিনের যাত্রীরা নামছিলেন না। পরে লঞ্চের স্টাফরা কেবিনের দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন। তালাবদ্ধ থাকায় ভেতর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্টাফদের কাছে থাকা অতিরিক্ত চাবি দিয়ে কেবিনের তালা খুলে তরুণীর লাশ দেখতে পান। তবে তার সঙ্গে থাকা তরুণকে পাওয়া যায়নি।
সহকারী পুলিশ সুপার (নৌ পুলিশ) হাবিবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এরপর সুযোগ বুঝে ঘাতক কেবিন থেকে বের হয়ে লঞ্চের যাত্রীদের ভেতর মিশে যায়। ভোরে লঞ্চ ঘাটে ভেড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায়।
লঞ্চের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে চিহ্নিতের চেষ্টা চলছে। নিহতের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। লঞ্চে দায়িত্বরত কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনা তদন্তে নৌ পুলিশ, কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডি কাজ করছে বলে জানান হাবিবুর রহমান।
জেডআই/ডা.