• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ছাত্রদল থেকে রাজনীতির পাঠ শুরু ডা. মুরাদের

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২১, ০৪:০৮ এএম

ছাত্রদল থেকে রাজনীতির পাঠ শুরু ডা. মুরাদের

ময়মনসিংহ ব্যুরো

সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য আর কল রেকর্ড ফাঁসের পর দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন তথ্য সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে যাত্রা শুরু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী তিনি। ১৯৯৬ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক ছিলেন তিনি।

তৎকালীন মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাইদ মহেবুব উল কাদির বলেন, ‘দলের প্রচার প্রচারণায় অবদান যোগ্যতা দেখেই পদ দেয়া হয়েছিল ডা. মুরাদ হাসানকে। মুরাদ আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছে, রাজপথে থেকেছে। তখন তার কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়েই তাকে কমিটিতে প্রচার সম্পাদক করা হয়েছিল।

জানা যায়, সেই কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোতাহার হোসেন তালুকদার।


তিনি বলেন, ‘মুরাদ পল্টিবাজ লোক। দলের দুসময়ে পল্টি দেন তিনি। তার বাবা মতিউর রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। তারপরও বিএনপি মতাদর্শে তার কার্যক্রম সন্তুষ্টজনক থাকায় হয়তো মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের নেতারা তাকে যোগ্য মনে করেছেন। তাই কমিটিতে এনেছেন। আমার কাজ অনুমোদন করা।মোতাহার হোসেন তালুকদার, বর্তমানে জ্যেষ্ঠ আহ্বায়ক ময়মনসিংহ জেলা বিএনপি (উত্তর)

তখনকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ’৯৬-এর আন্দোলনে বিএনপির পক্ষে রাজপথ কাঁপানো নেতা ডা. মুরাদ। নিজ দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন মাদকসহ নানা অপকর্মের কারণে। তখন ভোল পাল্টে নাম লেখান ছাত্রলীগে। আবু ওয়াহাব আকন্দ, তৎকালীন ছাত্রদল নেতা, বর্তমানে জ্যেষ্ঠ আহ্বায়ক, মহানগর জেলা বিএনপি।

তিনি বলেন, ‘মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় মদ্যপ হিসেবে পরিচিত ছিল ডা. মুরাদ। একবার ফেনসিডিল খেয়ে পয়সা না দেয়ার কারণে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটানো হয়েছিল তাকে। তার নানা আচরণের কারণে ছাত্রদলের নেতারা অসন্তুষ্ট ছিল। সে যখন বুঝতে পেরেছে ছাত্রদলে তার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তখন পল্টি নিয়েছে।


বিষয়ে জানতে চাইলে ১৯৯৮ সালের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. বিজয় কুমার পাল বলেন, ‘ডা. মুরাদের বাবা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তখন মুরাদ হাসান ছাত্রদলে ছিল এমন জনশ্রুতি থাকলেও কেউ প্রমাণ দিতে পারেনি। তাই তাকে ছাত্রলীগে নেয়া হয়েছিল।

নূর/এম. জামান/ডাকুয়া

আর্কাইভ