• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ভোগান্তি বাড়ল

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২১, ১০:২৮ পিএম

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ভোগান্তি বাড়ল

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের বাংলাবাজার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচলের সময়সীমা দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করছে।

এর আগে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা (১০ ঘণ্টা) পর্যন্ত ফেরি চলাচল করত। অন্যদিকে কয়েকদিন ধরে ভোরে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় পদ্মাসেতুর নিরাপত্তাজনিত কারণে ভোর সাড়ে ৬টার পরিবর্তে সকাল ৮টা থেকে ফেরি চলাচল করছে। এছাড়া বিকেল চারটায় উভয় ঘাট থেকে সর্বশেষ ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি' বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, 'কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেরি চলাচলের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। সোমবার ( ডিসেম্বর) থেকে ঘণ্টা ফেরি চলাচল করবে। বর্তমানে নৌরুটে কদম, কুঞ্জলতা, বেগম সুফিয়া কামাল বেগম রোকেয়া নামের চারটি ফেরি চলাচল করছে।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে ফেরি স্বল্পতার কারণে ভোগান্তি লেগেই রয়েছে। আগে ১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল করেও ঘাটে আসা সকল যানবাহন পার করতে পারেনি। এখন ঘণ্টাতে আরও কম সংখ্যক যানবাহন পার করা ছাড়া কোনো উপায় থাকছে না। প্রতিদিন শতশত গাড়ি পদ্মা পার হতে ব্যর্থ হবে। ফলে ভোগান্তির মাত্রা আরও কিছুটা বেড়ে যাচ্ছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে শিবচরে। ফলে নৌরুটে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। নৌযান চলাচল করলেও লঞ্চঘাট যাত্রীশূন্য বলে জানা গেছে। এছাড়া ফেরিঘাটে পারের অপেক্ষায় শতাধিক যানবাহন আটকে আছে বলে ফেরিঘাট সূত্র জানিয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি' বাংলাবাজার ঘাটের কর্মকর্তারা বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাতেই আমরা ফেরি চালিয়ে থাকি। চারটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার বেশ কষ্টকর। তবে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি অসুস্থ্য থাকলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পার করে থাকি। যাতে করে তারা ভোগান্তিতে না পড়ে। এছাড়া অসংখ্য গাড়ি দিন শেষে পার করা সম্ভব হয় না।

বরিশাল থেকে আগত জাহাঙ্গীর নামে এক ট্রাক চালক জানান, এমনি ফেরি স্বল্পতা আবার সময় কম। আমরা যারা এই নৌরুট ব্যবহার করে ঢাকা যাই আমাদের ভোগান্তি  আরও বেড়ে গেল। সরকারের উচিত ছিল ফেরির সংখ্যা সময় বাড়ানো।

খুলনা থেকে আগত চালক রোকন জানান, নৌরুটে ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না। এমনি এই ঘাটে আসলে সিরিয়ালে থাকতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় সিরিয়ালে থাকতে থাকতে সময় শেষ। তাই রাতেও অনেক মালামাল নিয়ে ঘাটে ঘুমাইতে হয়। এখন সময় ঘণ্টা কমানো হয়েছে। তাগোতো (কর্মকর্তা) কিছু অইবো না। বিপদে তো আমরা পরলাম। এখন আমাদের অনেকের ফেরি না পেয়ে দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করতে হবে।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সারা দিনে এখন ঘণ্টা ফেরি চলছে। অনেক যানবাহন শেষ পর্যন্ত আমরা পার করতে পারি না। তবে জরুরি যানবাহন অগ্রাধিকার দিয়ে পার করা হচ্ছে।

নূর/ডাকুয়া

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ