• ঢাকা শনিবার
    ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১

শেষ সম্বল বিক্রি করেও বাঁচল না শিশু সন্তান!

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ০৮:৩৭ পিএম

শেষ সম্বল বিক্রি করেও বাঁচল না শিশু সন্তান!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

শিশু খাদিজা খাতুন। বয়স সাত বছর। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের ভ্যানচালক ফেরদৌস আলীর মেয়ে। গত ১৪ নভেম্বর নিজ বাড়িতে আগুনে তার শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে যায়। দীর্ঘ ২০ দিন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করে শনিবার রাতে মারা যায়।

জানা গেছে, আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর ওই দিন তাকে দ্রুত হাতীবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে নিয়ে যেতে পারছিল না খাদিজার বাবা ভ্যানচালক ফেরদৌস।

খবর পেয়ে কয়েকজন সংবাদকর্মী হাসপাতালে ছুটে গিয়ে শিশু খাদিজাকে নিয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ প্রকাশ করলে বিভিন্নজন তার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করতে থাকে। পরের দিন শিশু খাজিদাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসায় অর্থের সংকট দেখা দিলে ভ্যানচালক ফেরদৌস আলী তার আয়ের একমাত্র সম্বল ভ্যান গাড়িটিও বিক্রি করে দেন।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা শিশু খাদিজাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরার্মশ দেন। কিন্তু টাকার অভাবে খাদিজাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন ফেরদৌস আলী। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় অর্থের কাছে হেরে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শিশু খাদিজা। রোববার তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শিশু খাদিজার বাবা ভ্যানচালক ফেরদৌস আলী বলেন, ‘টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজ আমি আমার সুস্থ হওয়া মেয়েটিকে হারালাম। জীবনের শেষ সম্বল ভ্যান গাড়িটিও বিক্রি করে মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না। এখন কীভাবে আয় করে স্ত্রীসহ বাকি সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেব?

এস/ডাকুয়া

আর্কাইভ