মাদারীপুর প্রতিনিধি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বন্ধ থাকে লঞ্চ। তবে দীর্ঘ ৪৯ দিন পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৪ মে) সকাল ৬টা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা লঞ্চে পার হতে শুরু করেছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ৫ এপ্রিল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। তবে এ সময়ে নৌরুটে শুধুমাত্র ফেরি চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বিকল্প নৌযান না থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ঈদে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। একইসঙ্গে ঈদের পর ভোগান্তি নিয়েই ঢাকায় ফিরেছেন তারা।
দীর্ঘদিন পর লঞ্চ চলাচল চালু হওয়ায় স্বস্তি দেখা দিয়েছে যাত্রী, লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের মাঝে। আর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের এই বাংলাবাজার ঘাট।
চলাচল শুরু করায় যাত্রীরা ফেরির পাশাপাশি লঞ্চে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন। ফলে ফেরিতে কমে এসেছে যাত্রীচাপ। বেশির ভাগ যাত্রীই লঞ্চে করে নদী পার হচ্ছেন। লঞ্চে স্বল্প সংখ্যক যাত্রী পারাপারের নির্দেশনা থাকলেও তার কার্যকারিতা তেমন দেখা যায়নি। তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রী উঠাচ্ছেন।
বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮৬টি লঞ্চ রয়েছে। ৫ এপ্রিল থেকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল এ রুটে। স্পিডবোট চলাচল বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও নিয়ম ভেঙে কিছু স্পিডবোট যাত্রী পারাপার করেছিল। এর মধ্যে ৩ মে স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর এই নৌরুটে স্পিডবোট, ট্রলার চলাচল বন্ধ করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যায়। এরপর থেকে বন্ধ থাকে এসব নৌযানও। অন্যদিকে গত ১২ মে এই নৌরুটে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা দুটি ফেরিতে প্রচণ্ড গরমে ও হিটস্ট্রোক করে ৫ জন যাত্রী মারা যায়।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, 'ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। সোমবার সকাল ৬টায় বাংলাবাজার ঘাট থেকে লঞ্চ শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে লঞ্চ চলাচল শুরু। লঞ্চ চালু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'লঞ্চ চলাচল শুরু করায় ফেরিতে যাত্রীদের চাপ কমেছে। ফলে যানবাহন পারাপার সহজ হয়েছে। সকাল থেকেই যাত্রীরা লঞ্চে পার হচ্ছে। তাই ফেরিতে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা কমেছে।'
এএএম/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন