প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২১, ০৫:৪০ পিএম
রফিকুল ইসলাম, মাদারীপুর প্রতিনিধি
দেশজুড়ে এখন চলছে শীতের
প্রকোপ। পিঠা-পুলি আর
নানা রকম উৎসবে ঠাসা
ঋতু শীতকাল। শীত এলেই সারা
দেশের ন্যায় মাদারীপুরে জমজমাট হয়ে ওঠে গরম
কাপড়ের বাজার। কেউ রাস্তার পাশে
আবার কেউ ভ্যানে করে
বিক্রি করছেন এই পোশাক।
জেলা শহরের পুরান বাজার, কোর্ট চত্বর ও শিবচর উপজেলার পৌর বাজারসহ আশেপাশের পাচ্চর, চান্দেরচর বাজার ঘুরে দেখা যায় শীতকালীন পোশা বিক্রির ধুম। বিশেষ করে বিকেল থেকে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত দেখা যায় পোশাক বিক্রির ব্যস্ততা। শীতের তীব্রতা যতো বাড়ছে ততই বাড়ছে এখানকার শীতকালীন পোশাকের চাহিদা। বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে ভিড়ই জানান দিচ্ছে শীতের তীব্রতা এখন কতখানি?
এদিকে
গত কয়েকদিন ধরেই কুয়াশার চাদরে
ঢাকা পড়ে শিবচর উপজেলার
প্রায় গ্রামবাংলা। বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও নদীর
তীরবর্তী এলাকায় সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত
কুয়াশাচ্ছন্ন দেখা যায়। জেলা
ও উপজেলা শহরের শীত কিছুটা কম
হলেও গ্রামীণ জনপদে বেড়েছে শীতের দাপট। একদিকে শীতকালীন সবজি অন্য দিকে শীতকালীন
পোশাক। সব মিলিয়ে এখন
মাদারীপুরে শীতের আবহ লক্ষ্যণীয়।
ফুটপাতের
দোকানগুলোতে নতুন ও পুরোনো
কাপড় নিয়ে দোকানিদের সঙ্গে
কথা বললে তারা জানান,
শীতে শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধদের কাপড়
বিক্রিই বেশি।
নানান বয়সী মানুষ শীতের প্রকোপ মোকাবিলায় যার যার সাধ্যমতো পছন্দের শীতের পোশাক কেনার জন্য ছুটছে দোকানগুলোতে। একই সময়ে সকলের প্রয়োজনে জমজমাট হয়ে পড়ে মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকার শীতের কাপড় বিক্রির দোকানগুলো।
শীতের প্রকোপ অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিবচর পৌরবাজারের টিএনটি মোড়, লালনমঞ্চ ও একাত্তর সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে শুরু করে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী পৌর মার্কেট, খলিফা পট্টি মার্কেটগুলোতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে শীতকালীন পোশাকের জমজমাট বিক্রি। বিপণনকেন্দ্রগুলোতে শীত বস্ত্র কেনাকাটাও চলছে পুরোদমে। বিভিন্ন মার্কেট, ফুটপাতসহ সকল দোকানে দেখা মিলছে হরেক রকম শীত বস্ত্রের সমাহার। কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে জমজমাট কেনাবেচার চিত্র। এসব মার্কেটের বেশ কিছু দোকান ঘুরে দেখা যায় শীতবস্ত্রতে ঠাসা। মার্কেট ও ফুটপাতে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এসব পোশাক কেনা-বেচা। বিক্রয়কর্মীরা ক্রেতাদের নজর কাড়তে দিচ্ছে নানারকম স্লোগান।
এসব
দোকানে বাচ্চাদের পুরোনো সোয়েটার ১২০-৪৫০ টাকা,
নতুন সোয়েটার ৪০০-৮০০ টাকা,
জ্যাকেট রেকসিন ৩০০-৫০০ টাকা
ও কাপড়ের জ্যাকেট ৩৫০-৬০০ টাকা
প্রকারভেদে বিক্রয় হয়।
এছাড়া বাচ্চাদের কান টুপি ৮০-১০০ টাকা,
হাত মুজা ৫০ টাকা,
কাপড়ের জুতা ১২০ টাকা
বিক্রি করতে দেখা যায়।
এছাড়া ছেলেদের গেঞ্জি ৩৫০ টাকা, রেকসিন
জ্যাকেট ৬০০-১৬০০ টাকা।
মহিলাদের জন্য দেশি চাদর
৪৫০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
শিবচর পৌর বাজারের লালন মঞ্চের পাশে ফুটপাতের দোকানি হেলাল জানান, গত বছর করোনার কারণে বাজার তেমন ভালো ছিল না। এবার ব্যাপক হারে শীতবস্ত্র আমদানি হয়েছে। তবে এখনও লোকজন তেমন কেনাকাটা করে না।
মাদারীপুর
কোর্ট চত্বরে দোকানদার মেহেদী হাসান বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে শীতের পোশাক
বাজারে এসেছে। শিশু থেকে শুরু
করে সব শ্রেণি-পেশার
মানুষ দোকানে দেখতে আসে। তবে তাদের
চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের পোশাক ক্রয় করতে পারছে
না। আমাগো এই দোকানে তো
আর দামি মাল নেই
তাই আর কি?’
শিবচরের
একাত্তর সড়কের ভ্রাম্যমাণ দোকানদার শিতল মিয়া বলেন, ‘শীতের নতুন কাপড় বিগত
বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি বেশি।
আমার দোকানে মূলত গরিব লোকজন
বেশি আসে আর আমি
কমদামি মালামাল বেশি আনি।’
নূর/ডাকুয়া