• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

কুড়িগ্রামে হলুদের সমারোহে ঢেকেছে সর্ষের মাঠ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১, ১১:৩৩ পিএম

কুড়িগ্রামে হলুদের সমারোহে ঢেকেছে সর্ষের মাঠ

ফজলুল করিম, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ফসলের মাঠজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। দিগন্ত জুড়ে বিস্তৃত সরিষার মাঠে লেগেছে হলুদের ছোঁয়া। শিশির ভেজা সকাল আর গোধূলি বিকেলের মাঠে শোভা পাচ্ছে সরিষার ফুল। এ সময়ে সূর্যের রশ্মি সরিষার ফুলে নিয়ে এসেছে যেন অবারিত মুক্তার দানা। যতদূর চোখ যায় ততদূরই দেখা যায় হলুদ রঙের ক্যানভাসে ফুটে ঠছে যেন কৃষকের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলার ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ অর্জিত হয়েছে। আরও অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্ষে চাষি খোরশেদ আলম জানান, বন্যা-পরবর্তী সময়ে অনাবাদি জমিতে প্রতি বছরই সরিষা চাষ করি। এ আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি হয়। প্রতি মণ সরিষা হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করতে পারি। এখন পর্যন্ত সরিষার আবাদ ভালোই দেখা যাচ্ছে কোনো প্রকার বালাই না থাকলে এবারেও লাভবান হব।

কদমতলা গ্রামের সেকেন্দার আলী জানানসরিষা চাষে ঝামেলা কম থাকায় আবাদে সবারই আগ্রহ থাকে। এছাড়া এখন সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করা যায়। বাইরের জেলা থেকে মধু চাষিরা এ সময় আমাদের এখানে এসে মধু নিয়ে যায়।

ঘনশ্যামপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, নদীর তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানকার জমিগুলোতে বোরো চাষ ছাড়া আর কোনো আবাদ হয় না। তাই বন্যার পরপরই আমরা সরিষা চাষ করি। বিঘাপ্রতি সব মিলিয়ে হাজার টাকা ব্যয় হয়। আর বিঘাপ্রতি থেকে মণ সরিষা পাওয়া যায়।

আমেনা বেগম বলেন, ‘সরিষা আবাদ ভালো। সরিষা শাক সুস্বাধু। সরিষার পাশাপাশি সরিষা শাক বিক্রি করেও লাভবান হওয়া যায়।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘সঠিক পরিচর্যা পেলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার কুড়িগ্রামে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার কারণে সরিষা চাষ একটু দেরি হয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার সরিষা আবাদ ভালোই দেখা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত জমিতে রস পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে সরিষার ভালো ফলন হবে।

নূর/এম. জামান

আর্কাইভ