প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২১, ০৯:০৭ পিএম
সোহাগ কুমার বিশ্বাস, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কারনেট বা
পর্যটন সুবিধায় আনা ১৩০ বিলাসবহুল
গাড়ির হদিস পাচ্ছে না
কাস্টম হাউস। ১০ বছর আগে
কারনেট সুবিধা ব্যবহার করে শুল্কমুক্তভাবে গাড়িগুলো
খালাস করেছিল বাংলাদেশে অবস্থান করা বিদেশি ও
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসীরা। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি
হওয়ায় ২০১১ সালে বিশেষ
এই সুবিধা বাতিল করতে বাধ্য হয়
সরকার। কিন্তু ২০০৭ সাল থেকে
২০১১ পর্যন্ত এই সুবিধায় বের
হওয়া গাড়িগুলো কিংবা তার মালিকদেরও আর
খুঁজে পায়নি কাস্টমস।
তাদের
দাবি লাপাত্তা হয়ে যাওয়া গাড়িগুলো
উদ্ধারে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে একাধিকবার তাগাদা দিয়েও সুফল আসেনি। আর
বিআরটিএ বলছে, জাল রেজিস্ট্রেশন আর
ভুয়া নাম্বার প্লেট ব্যবহার করে এসব গাড়ি
রাস্তায় চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
যা উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
২০১১
সালের আগে বাংলাদেশে অবস্থান
করা বিদেশি নাগরিক ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসীরা ফিরিয়ে নেয়ার শর্তে স্বল্প সময়ের জন্য
শুল্কমুক্তভাবে তাদের ব্যবহৃত গাড়ি দেশে নিয়ে
আসার সুযোগ পেতেন। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার
করে বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজের মতো উচ্চশুল্কের বিলাসবহুল
গাড়ি নিয়ে আসে তারা।
কাস্টমসের হিসেবে ২০০৭ সাল থেকে
২০১১ সাল পর্যন্ত এই
সুবিধায় খালাস হয়েছে প্রায় আড়াইশো গাড়ি। যার মধ্যে কারনেট
সুবিধা বাতিল হওয়ার সময় বন্দরে আটকা
পড়ে ১১৩টি। যা সম্প্রতি নিলাম
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম
কাস্টম হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম জানান, গাড়িগুলোর
ইঞ্জিন, চ্যাসিস নাম্বারসহ যাবতীয় তথ্য বিআরটিএসহ সব
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে একাধিকবার পাঠানো
হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গাড়িগুলো
খুঁজে বের করা সম্ভব
হয়নি। তার ধারণা রং
বদলে, জাল রেজিস্ট্রেশন আর
ভুয়া নম্বরপ্লেট ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
চোখ এড়িয়ে এসব গাড়ি চলাচল
করছে দেশজুড়ে।
বিআরটিএ-র সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম জানান, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে খালাস করা
কোনো যানবাহনের বৈধ রেজিস্ট্রেশন করার
সুযোগ নেই। তাই পর্যটন
সুবিধায় আনা গাড়িগুলো শতভাগ
অবৈধভাবেই চলছে রাস্তায়। যা
উদ্ধারে তারাও তৎপর রয়েছেন।
নতুন
ও পুরাতন গাড়ি আমদানিকারক বারভিডা
নেতা আনোয়ার সাদাত জানান, উচ্চ শুল্ক আর
কাস্টমসের হয়রানির কারণে শুল্কফাঁকি কিম্বা অবৈধ গাড়ি ব্যবহারের
প্রবণতা বাড়ছে বাংলাদেশে। আর এই কারণেই
কারনেট সুবিধার অপব্যবহার হয়েছে। তবে এর সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছে। নইলে
১০ বছর ধরে রাস্তায়
চলাচল করা অবৈধ গাড়িগুলো
উদ্ধার না হওয়ার কোনো
কারণ নেই।
নূর/ডাকুয়া