• ঢাকা শুক্রবার
    ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এই ভোটই হয়তো জীবনের শেষ ভোট

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২১, ০৫:২৬ পিএম

এই ভোটই হয়তো জীবনের শেষ ভোট

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

‘আমার বন্ধুবান্ধব অনেকেই চলে গেছে। এক বছর আগে আমার স্ত্রী সখিনা বেগমও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। ছেলে-মেয়েরা আমার ভরণপোষণ করায়। বয়সের কারণে চোখে ভালোভাবে দেখি না, কানেও শুনি না। জীবনের শেষ মুহূর্তে চলে এসেছি। এই ভোটই হয়তো আমার জীবনের শেষ ভোট।

এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ৬৮ বছর বয়সী মো. খন্দকার শহিদুর রহমান। তিনি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পালিমা গ্রামের মৃত খন্দকার নায়েব আলীর ছেলে।  রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১১টায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নারান্দিয়া ইউনিয়নের পোষণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বিপদে যাকে কাছে পেয়েছি ডাকলে যার সাড়া পেয়েছি এমন প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছি। আশা করি আমার প্রার্থী নির্বাচিত হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করবে।

শহিদুর রহমান জানান, তার তিন ছেলে এক মেয়ে। আগে দিন মজুরের কাজ করলেও বর্তমানে বয়সের বাড়ে ন্যুজ হয়ে পড়ায় তিনি কিছু করতে পারেন না। ছেলে ধরে নিয়ে আসছে তারপর ভোট দিলাম।

পোষণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘কেন্দ্রের ৯টি বুথে শান্তিপূর্ণভাবে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই কেন্দ্রে তিন হাজার ২৬৭ জন ভোটার। পুরুষ ভোটার হাজার ৬১৬ জন, নারী ভোটার হাজার ৬৫১ জন। সকালেই ভোটারদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে।

নূর/ডাকুয়া

আর্কাইভ