প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১, ১২:৩৪ এএম
লালমনিরহাট জেলা
আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুজ্জামান
আহমেদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্ত্রীকে ইউনিয়ন
পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে আরও সাতজন
দলীয় নেতাকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
বুধবার (২৪
নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জেলা আওয়ামী
লীগ কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বহিষ্কৃত মাহাবুজ্জামান আহমেদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই ও কালীগঞ্জ
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। মাহাবুজ্জামানের স্ত্রী কালীগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগের
সভানেত্রী সাজেদা বেগম ওই উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী
প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। কয়েক দিন আগে সাজেদা বেগমকেও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়াও ওই
উপজেলার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মদাতির মোটরসাইকেলে প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম
বিপ্লব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আলী
প্রামাণিক, চলবলার ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি খবির উদ্দিন, গোড়ল
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, কাকিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
শহিদুল হক, কাকিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
ফেরাজুল ইসলামকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
লালমনিরহাট
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান জানান, দলের
সিদ্ধান্ত অমান্য করে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহাবুজ্জামান আহমেদের স্ত্রী
বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। এছাড়াও বাকিরা কেউ নিজে বিদ্রোহী প্রার্থী
হয়েছেন। কেউ আবার বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা
হয়েছে।
এস/এম. জামান
