প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১, ০৩:৫০ এএম
পেশায় চাকরিজীবী হলেও বড়শি
দিয়ে মাছ শিকার করা এক প্রকার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে কামাল হোসেনের। সেই নেশার টানে
বরগুনার একটি খালে বড়শি ফেলেন। তাতেই বাজিমাত! তার বড়শিতে ধরা পড়ে প্রায় ১৩ কেজি
ওজনের একটি গজার মাছ।
শৌখিন বড়শি শিকারি কামাল হোসেন বরগুনা শহরের আঞ্চলিক মহাসড়ক এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তিনি মাছ ধরতে বরগুনার বুড়িরচর ইউনিয়নের সোনাখালী এলাকায় যান। সকাল থেকে বড়শিতে কোনো মাছ না পাওয়ায় সন্ধ্যার পর ওই এলাকার চেয়ারম্যান বাজারের একটি খালে বড়শি ফেলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে তার বড়শিতে ১৩ কেজি ওজনের বড় সাইজের একটি গজার মাছ ধরা পড়ে।
কামাল হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে বড়শিতে গজার মাছটি ধরা পড়ে। প্রথমে আমি মনে করেছি মাছ নয়, অন্য কিছু হবে। ভয়ও পেয়েছি।
তিনি বলেন, মাছটি বড়শি গিলে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। কোনোক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলাম না। অনেকক্ষণ পর মাছটি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পরে ধীরে ধীরে সুতা টেনে কিনারে এনে দেখি গজার মাছ। তিনি এত বড় মাছ কোনো সময় বড়শিতে পাননি বলেও জানান।’
শৌখিন এই মৎস্য শিকারি বলেন, ‘মাছটি কেনার জন্য বহু লোক বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকালে এসেছেন। এক মৎস্য ব্যবসায়ী ১৫ হাজার টাকা দাম বলেছিলেন কিন্তু আমি বিক্রি করিনি। মাছ ধরা আমার শখ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বড়শিতে অনেক মাছ পেয়েছি কিন্তু গজার মাছ পাওয়া যায় না।’
বরগুনা বাজারের মাছ বিক্রেতা বাবুল বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে একসময় গজার মাছ পাওয়া যেত। শীত মৌসুমে এই মাছ খেতে খুব সুস্বাদু। আমরা যেসব গজার মাছ বিক্রি করি তার ওজন আধা কেজি বা এক কেজি হবে। এত বড় গজার মাছ আমার বয়সে দেখিনি। বড় সাইজের মাছের দাম একটু বেশি হয়। শখ করে অনেকে কিনে নেয়। বাজারে মাছটি বিক্রি করলে ১৫-২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যেত।’
বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হাচানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘আমরা ইলিশ, রুই-কাতলা মাছের নিউজ করে থাকি। আমি ৫০ বছরেও মাছ বাজারে এত বড় গজার দেখিনি। এ মাছটি ঢাকা শহরে নিয়ে বিক্রি করলে ৩০-৪০ হাজার টাকা দাম হতো।’
জেডআই/ডাকুয়া