• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অপহরণ করে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২১, ১০:৫০ পিএম

অপহরণ করে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে অপহরণ ধর্ষণের অভিযোগে রিশাদ মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রিশাদ মিয়া সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের মো. মফিজ মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব-১২এর ৩নং কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সদর উপজেলার বড় বেলতা এলাকায় ট্রাক্টর চালাতে গিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী নজরে পড়ে রিশাদ মিয়ার। প্রেমের প্রস্তাব দিলে রাজি হয়নি ওই ছাত্রী। পরে গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় রিশাদ মিয়াসহ একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে।

তিনি আরও জানান, ঘটনায় মেয়ে মা টাঙ্গাইল সদর থানা ও র‌্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়। পরে র‌্যাব-১২এর ৩নং কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করে একটি টিম। র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা, অনুসন্ধান আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে যে, ভিকটিম অপহরণকারীরা সখিপুর উপজেলায় অবস্থান করছে। অপহরণকারীরা ভিকটিমকে নিয়ে বার বার স্থান পরিবর্তন করে। বুধবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি ঘরের ভেতরে ভিকটিমকে হাত, পা, মুখ বাঁধা অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা হতে রিশাদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

কোম্পানি কমান্ডার আরও জানান, বড় বেলতা অলোয়া চর এলাকা হতে ধারালো অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে জিম্মি করে সিএনজি যোগে অপহরণ করে সখিপুরের দুর্গম নির্জন পাহাড়ি এলাকায় তার এক পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর ভিকটিমকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং ভিকটিম যাতে না পালাতে পারে সেজন্য ভিকটিমকে হাত পা বেঁধে দরজা বন্ধ করে আটকে রাখে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন তাদের খুঁজে বের করতে না পারে তাই বারবার সখিপুর, মধুপুর সদরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান পরিবর্তন করে। অবস্থান পরিবর্তনের সময় ভিকটিমের চোখ মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে রাখা হতো, যাতে ভিকটিম অবস্থান চিহ্নিত করতে না পারে।

ধর্ষক রিশাদ মিয়া একজন ট্রাক্টর চালক। এর আগেও তিনি দুটি বিয়ে করেছেন। ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর /()/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিকে টাঙ্গাইল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যান্যদের আটক করার বিষয় প্রক্রিয়াধীন বলে র‌্যা কমান্ডার জানান।

নূর/এম. জামান

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ