প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২১, ০৭:৪৭ পিএম
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর হাসান আলী হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবুসহ আটজনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেকের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার আট আসামিকে খালাস দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ১৬ আসামির মধ্যে ১৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন পলাতক।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পলাশবাড়ীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু, আব্দুর রউফ, জালাল, গোলাম মোস্তফা, সোনালি ব্যাংক কর্মচারী শাহ আলম, মিজানুর রহমান, আবু তালেব এবং রংপুরের পীরগঞ্জের ফারুক। এর মধ্যে মিজানুর ও আবু তালেব পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফারুক আহমেদ প্রিন্স রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ফারুক আহমেদ জানান, ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে পলাশবাড়ির আমবাড়ি গ্রামে একটি কলেজের কমিটিকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ আব্দুর রউফের সঙ্গে নজরুল ইসলাম লেবুর শত্রুতা শুরু হয়। পরবর্তীতে লেবুর নেতৃত্বে তার লোকজন আব্দুর রউফের ওপর হামলা করে। এ সময় পাশের গ্রামের হাসান আলী নামে এক কৃষক রউফকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলাটির দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৬ আসামির মধ্যে ১৩ আসামির উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখানে ন্যায়বিচার পাবো বলে আশা করছি।’
শামীম/এম. জামান