প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২১, ১০:০৬ পিএম
নোয়াখালীর
বেগমগঞ্জ উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) অপহরণ করে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত
থাকার অভিযোগে কামাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬
নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের বিজয়পুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত
কামাল হোসেন বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত জালাল
আহমদের ছেলে।
এর আগে, গত
রোববার (১৪ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনায়
বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী। পরে সোমবার
সকালে পুলিশ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ
করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ধর্ষক কামালকে গ্রেফতারের
বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ধর্ষককে টাঙ্গাইলের সখীপুর
থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান,
কামালকে
আনার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
উল্লেখ্য,
গত
২৬ আগস্ট সকাল ১০টায় ভিকটিম মীর কাশেম স্কুলে যাওয়ার সময় স্থানীয় মজুমদার হাটের
উত্তর পাশে পৌঁছলে আবু নাছেরের বাড়ির সামনে থেকে নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল্লাহ আল
মামুন (২৮), একই গ্রামের কামাল (৪৬), নাছের
(২৫), হাজীপুর পাঁচ বাড়ির ফরহাদ (২৭) অপহরণ করে সিএনজি যোগে সেনবাগ থানার
ছাতারপাইয়ার এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
আবদুল্লা আল
মামুন ও কামাল তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর
১২টায় বের করে এনে সোনাইমুড়ি থেকে লাল-সবুজ বাস যোগে ঢাকায় নিয়ে পরবর্তীতে
টাঙ্গাইল শহিদপুর গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে আটক করে। পরে কামাল, নাছের ও ফরহাদ
পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং স্থানীয় অজ্ঞাত যুবকদের এনেও তাকে ধর্ষণ করায়। সে অজ্ঞান
হয়ে গেলে ওষুধ খাইয়ে একটু সুস্থ করে আবারও ধর্ষণ করত। গত ৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ওই
ছাত্রী কৌশলে পালিয়ে তার বাড়ি চলে আসে। একটু সুস্থ হয়ে ১৪ নভেম্বর (রোববার) রাতে
বেগমগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করে।
এস/এম. জামান