প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১, ১১:২৮ পিএম
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নে আসন্ন তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী
মো. আল আমিন সরকারের
নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে
অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নারীসহ
অন্তত ৬ জন আহত
হয়েছেন।
রোববার
(১৪ নভেম্বর) দুপুরে পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পুকুরপাড়ে অবস্থিত অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে এই হামলা ভাঙচুরের
ঘটনা ঘটে।
গুরুতর
আহতদের মধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল (৩৫) ও সাকিলকে
(২৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব
জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে
আহত রনি (২৩), মিলন
(২২), মোছা. লতা খাতুনসহ (৪৫)
চারজনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ
বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল আমিন
সরকার বলেন, ‘চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে এলাকার মানুষের পাশে থেকেছি। ব্যাপক
উন্নয়ন করেছি। এবারও আমি প্রার্থী হয়েছি।
আমার পক্ষে এলাকায় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমার প্রতীক মোটরসাইকেলের
পক্ষে গণজোয়ার দেখে নৌকার প্রার্থী
মো. রেজাউল ইসলাম তপন ও ইউনিয়ন
আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদুল হাসান রাশেদের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো
হয়েছে। নৌকার সমর্থনে একটি মিছিল থেকে
আক্রমণ চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় নির্বাচনী
অফিসের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি
চেয়ার। ছিঁড়ে ফেলা হয় ক্যাম্প
ঘেরাওয়ের কাপড়। এ ঘটনায় চরম
ভীতি বিরাজ করছে এলাকার সাধারণ
ভোটারদের মাঝে। আমি সঙ্গে সঙ্গে
বিষয়টি উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশকে
অবগত করেছি।’
পূর্ণিমাগাতী
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রাশেদুল
হাসান রাশেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার
করে বলেন, ‘তারাই বরং আমাদের কর্মীকে
ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে
দিয়েছে। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ
মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’
উল্লাপাড়া
মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক বলেন, ‘এ
বিষয়ে এখনও কেউ লিখিত
অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘বিষয়টি
আমি জানি না। তবে
কেউ যদি অভিযোগ দেয়
তাহলে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন
কমিশন আইন অনুযারী ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে।’
নূর/ডাকুয়া