প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১, ০৫:২১ পিএম
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের
অভিযানের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রামের জাহাজভাঙা
শিল্প। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে জরুরি বৈঠক ডেকে এই সিদ্ধান্ত জানায়
জাহাজভাঙা শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন
(বিএসবিআরএ)। এতে এই খাতে কর্মরত অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিকের বেকার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এর আগে বিকেলে ভ্যাট ফাঁকির
অভিযোগে সীতাকুণ্ডের চারটি জাহাজভাঙা কারখানায় একযোগে অভিযান চালায় ভ্যাট কমিশন। রাত
৯টা পর্যন্ত চালানো অভিযানে কারখানাগুলোর সব নথি ও কম্পিউটার জব্দ করে তারা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের
জন্য সীতাকুণ্ডে সবকটি জাহাজভাঙা কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিএসবিআরএ। নথিপত্র জব্দ
করা কারখানাগুলো হলো-ভাটিয়ারি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, প্রিমিয়ার ট্রেড করপোরেশন,
মাহিনুর শিপব্রেকিং ইয়ার্ড ও এসএন করপোরেশন।
বিএসবিআরএর সচিব নাজমুল হোসেন
জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব ঘোষণা কিংবা কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই চারটি কারখানায় একযোগে
অভিযান চালায় কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের গঠিত তিনটি দল। তারা একযোগে পৃথক পৃথক
জাহাজভাঙা কারখানায় গিয়ে কারখানার নথিপত্র ও কম্পিউটার জব্দ করে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের
ভ্যাট কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এ সময় অভিযানের নেতৃত্বে থাকা কর্মকর্তারা শিল্প মালিকদের
সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলেও জানান তিনি। সীতাকুণ্ডের উপকূলে মোট ১৫০টি জাহাজভাঙা
কারখানার মধ্যে এখন সচল রয়েছে ৬০টি কারখানা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ
ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মুহম্মদ তারেক জানান, যেসব প্রতিষ্ঠানের
বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ আছে সেই সব অফিসেই অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দ করা
নথিগুলো যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তারা।
নূর/এএমকে