প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২১, ০৮:১৩ পিএম
লালমনিরহাটে ৫ উপজেলার মধ্যে
৩টিতে ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে।
একটি উপজেলায় আগামী ১১ নভেম্বর ও
অপর দুটিতে আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হবে। ৩টি উপজেলার
২৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের
দলীয় প্রার্থীর বাহিরে অনেক নেতা বিদ্রোহী
প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি দলীয়ভাবে এ নির্বাচন বর্জন
করলেও তাদের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
জেলার
কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নে নৌকার মনোনীত প্রার্থী নুর ইসলাম আহমেদ।
এখানে নৌকা না পেয়ে
বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজেদা জামান। চলবলা ইউনিয়নে নৌকার মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজু, এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম বসুনিয়া ও উপজেলা ছাত্রলীগের
সাবেক সহ-সভাপতি নয়ন
কুমার রায়। মদাতী ইউনিয়নে
নৌকার মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কাদের তবে দলীয় মনোনয়ন
না পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নেমেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও লালমনিরহাট জেলা
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব। কাকিনা
ইউনিয়নে নৌকার মনোনীত প্রার্থী মো. তাহির তাহু
এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে লড়ছেন যুবলীগের
ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ফারুক হোসেন। দলগ্রাম ইউনিয়নে নৌকার মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ছোটন এখানে বিদ্রোহী
প্রার্থী হয়েছেন ছাত্রলীগের ইউনিয়ন আহ্বায়ক জিন্নাহ রহমান জয়। গোড়ল ইউনিয়নে
নৌকার মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদুল ইসলাম।
এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর আমিন ও
আওয়ামী লীগ সদস্য উমা
শংকর রায়।
ওই
উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, তুষভান্ডার ইউনিয়নে
যুব দলের সাধারণ সম্পাদক
জাহাঙ্গীর আলম আঙ্গুর, ভোটমারী
ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, গোড়ল ইউনিয়নে ইউনিয়ন
বিএনপির সদস্য সচিব আবুল বাশার
মুক্তা, মদাতী ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নুরুন্নবী হিরু, দলগ্রাম ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন ও যুগ্ন আহ্বায়ক
মো. শামসুজ্জামান সবুজ, চলবলা ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক গোলাপ হোসেন এবং কাকিনা ইউনিয়নে
জেলা যুবদলের সদস্য হুমায়ুন কবির বাবু ও
বিএনপি কর্মী মফিজুর রহমান বাবুল প্রার্থী হয়েছেন।
জেলার
আতিমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন সালেকুজ্জামান প্রামাণিক (বিএনপি), আসাদুজ্জামান (ভুট্যা নান্নু) (নৌকা), ইছরাউল হক (বিদ্রোহী-আ’লীগ), বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজুর
রহমান নান্নু (বিদ্রোহী-আ.লীগ)। কমলাবাড়ী
ইউনিয়নে ওমর মাহমুদ চিশতি
(নৌকা), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম অপু (বিএনপি), মুক্তিযোদ্ধা
প্রজন্ম দলের সভাপতি মাঈদুল
ইসলাম (বিএনপি), বর্তমান চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আলাল
(ইশা)। সারপুকুর ইউনিয়নে
আজিজুল ইসলাম প্রধান (নৌকা), উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি বাদশা আলমগী (বিদ্রোহী-আ.লীগ), যুবলীগ
নেতা কবির হোসেন (বিদ্রোহী-আ.লীগ), মজিদুল
ইসলাম (বিদ্রোহী-আ.লীগ), উপজেলা
বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক প্রভাষক নাদিরুল ইসলাম মানিক (বিএনপি), সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নে আব্দুস সোহরাব (নৌকা), আশরাফুজ্জামান (বিএনপি),আসাদুজ্জামান লিপু (বিএনপি), ভাদাই ইউনিয়ন কৃঞ্চ কান্ত বিদুর (নৌকা), যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রবিউল ইসলাম, পলাশী বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত আলী (নৌকা),খাইরুল বাশার (বিদ্রোহী-আ’লীগ), জেলা স্বেচ্ছাসেবক নেতা
আবু হিয়া ইউনুছ আহমেদ
(বিএনপি),সাবেক চেয়ারম্যান আলাউল ইসলাম ফাতেমী (জামাত), মহিষখোচা বর্তমান চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী (নৌকা), মমতাজ উদ্দিন (বিদ্রোহী-আ.লীগ), নুর
আলম শেফাউল (বিদ্রোহী-আ.লীগ) প্রার্থী
হয়েছেন। এ ছাড়া লালমনিরহাট
সদর উপজেলাতেও আওয়ামীলীগের পাশাপাশি বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন।
লালমনিরহাট
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার
হোসেন বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ যদি প্রার্থী
হয়ে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নূর/ডাকুয়া