প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২১, ০৫:১৫ পিএম
ডিজেল ও কেরোসিন তেলের
দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ এবং ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ঢাকায় তৃতীয় দিনের মতো গণপরিবহন ধর্মঘট চলছে। তবে
চট্টগ্রামে বাস চলাচল করছে। চট্টগ্রাম বাস মালিক সমিতির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্দর
নগরীতে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
তবে ঢাকার যাত্রীদের দুর্ভোগ এখনও লাঘব হয়নি। টানা তৃতীয় দিনের মতো গণপরিবহন ধর্মঘট চলছে। রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় বিপাকে পড়েছে অফিসগামী যাত্রীরা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, কারা এ পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে আমার জানা নেই। মালিক বা শ্রমিকদের কোনো সংগঠন এ ধর্মঘট ডাকেনি।
এদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, চট্টগ্রামে গণপরিবহন সংশ্লিষ্ট সাতটি সংগঠনের মধ্যে পাঁচটি সংগঠনের বাস চলাচল করছে। চট্টগ্রামের অভ্যন্তরীণ ১৩টি রুটে বাসসহ গণপরিবহন চলছে।
যেসব যানবাহন চলছে তারা প্রায় সবাই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাত্রীরা জানান, সর্বনিম্ন পাঁচ টাকার ভাড়া ১০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে পরিবহনগুলো। এ নিয়ে সকালে বেশ কয়েক জায়গায় যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।
তবে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের বাস মালিকরাও ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। রোববার বেলা ১১টায় মন্ত্রণালয়ে ভাড়া নিয়ে যে বৈঠক হবে সে সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। ভাড়া না বাড়ালে আবারও ধর্মঘট শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শ্রমিক ও মালিক সমিতির নেতারা।
এর আগে শনিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন জানিয়েছিলেন, রোববার সকাল ছয়টা থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে বাস চলাচল করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের সমিতির অধীন যে বাসগুলো আছে তা আগামীকাল (রোববার) সকাল থেকে আবারও চলাচল করবে।’
বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করেছিলাম জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে। আমরা দাবি দিয়েছিলাম জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর জন্য অথবা আমাদের গাড়ির ভাড়া বাড়ানোর জন্য। শুক্রবার শান্তিপূর্ণভাবে গাড়ি বন্ধ রেখেছি। আজকেও (শনিবার) আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছি। কিন্তু কিছু কিছু শ্রমিক নামধারী লোক রাস্তায় পিকিটিং করছে। শ্রমিক নাম দিয়ে তাদের সঙ্গে কিছু অবাঞ্ছিত লোক গিয়ে রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেবে এটা হতে পারে না। তারা বিভিন্ন মিল কারখানার গাড়িও বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা মানুষকে বিপর্যস্ত অবস্থায় ফেলতে চাচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা রোববার সকাল থেকে গাড়ি চালাব।’
গত বুধবার রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। ৬৫ টাকার জ্বালানি তেল এখন ৮০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এবং ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষ এই ধর্মঘটে সায় দিয়েছে। এছাড়া ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর দাবিতে শনিবার দুপুর থেকে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রেখেছে মালিকপক্ষ। এতে সারা দেশে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীসাধারণ।
জেডআই/ডাকুয়া