প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড় সরকারী অডিটোরিয়ম হলরুমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়কদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন সারজিস আলম।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, সচিবালয়ে যেভাবে আগুন লেগেছে এবং এটার ধরন, যেমন অবস্থান যেমন। এটা কখনোই সাধারণভাবে বা ন্যাচারালি বা দূর্ঘটনাবশত আগুন হতে পারেনা। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, ষড়যন্ত্র করে, প্লান করে এই আগুনটি লাগানো হয়েছে। আপনি যদি আপনাদের জায়গা থেকে দেখেন, যে এই যে আগুনটি লেগেছে। এই আগুনটি আসলে লেগেছে আমাদের যারা ছাত্র প্রতিনিধি যারা সরকারে প্রতিনিধিত্ব করছে আমাদের নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ।
তাদের অফিসগুলো জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই জায়গা থেকে নরমালি আমাদের যারা ছাত্র প্রতিনিধিত্ব করছে ওই অর্ন্তবর্তী সরকারে। তারা এই অভ্যত্থানে রাজপথ থেকে লড়াই করছে। তারা স্পিরিটটা বুকে ধারণ করে এবং সেটিকে ধারণ করে খুনি শেখ হাসিনার সময়ে যারা বিভিন্ন দালাল ছিল। বিভিন্ন অন্যায় অপকর্ম, দুর্নীতি ছিল এগুলোর যে ফাইলগুলো ছিল। এই ফাইলগুলো তারা যখন বিভিন্নভাবে তদন্ত করছিল, এই ফাইলগুলি সংরক্ষণ করছিল বিচারের জন্য। ঠিক তখনি এই সচিবালয়ে এরকম একটি প্লান করে অগ্নিকা- ঘটানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জায়গা থেকে জাস্ট একটি জিনিস মনে করি, আসলে এত বড় অভ্যূত্থানের পরে আমাদের যেই বিপ্লবী ভূমিকায় থাকা উচিত ছিল। এই অর্ন্তবতী সরকারকে যেই বিপ্লবী ভূমিকায় থাকা উচিত ছিল। আমরা এখন পর্যন্ত সেটা হতে পারিনি। আমরা আসলে বেশি ভাল সাজতে গিয়েছি, সুশীল হতে গিয়েছি, সুযোগ দিতে গিয়েছি। কিন্তু যাদের রক্তে দালালি, যাদের রক্তে দাসত্ব, যারা এত বছরের অপকর্মের সাথে জড়িত তাদেরকে আপনি যতই সুযোগ দেন কোন লাভ নেই।
সারজিস বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, অন্তবর্তী সরকারে আমাদের যারা প্রতিনিধি রয়েছে, আমরা যারা রাজপথে রয়েছি আমাদের এখন সময় এসেছে এই বিপ্লবকে ধারণ করে বিপ্লবী ভূমিকায় অবর্তীণ হওয়া। যে কোন জায়গায়, সেটা সচিবালয় হোক আমলাতন্ত্র হোক, বাংলাদেশের যে কোন সরকারী অফিস হোক। যে কেউ যদি বিন্দুমাত্র অন্যায় অনিয়ম, অপকর্ম. দুর্নীতি, ঘুষ এগুলোর সাথে জড়িত থাকে তাদেরকে চেয়ার থেকে টেনে তুলতে হবে। এই সুযোগ আর দেয়া যাবেনা। ওই তিন, চার, পাঁচই আগস্টে খুনি শেখ হাসিনার পক্ষে স্লোগান দিয়েছিল তারা এখন কিভাবে সচিবালয়ে বসে অফিস করে।
তিনি বলেন, এই অভ্যূত্থান যদি সফল না হতো। তাহলে ওই খুনি শেখ হাসিনার দোসররাই আমরা যারা আন্দোলন করেছি আমাদের সকলকে জেলে ভরার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করতো। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, যারা এতদিন বছরের পর বছর ধরে ব্যাক্তি স্বার্থকে সামনে রেখে দেশ এবং দেশের মানুষের সাথে গাদ্দারি করেছে। এসকল তোষামদকারী দালাল, দাসদেরকে ওই চেয়ার থেকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে এবং আমরা এই অভ্যূত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে আগামীর বাংলাদেশে অনেক ষড়যন্ত্র হবে অলরেডি হচ্ছে। এগুলোকে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে না পারি। তাহলে ওই খুনিদের পদচারণা আবার বাংলাদেশে দেখা যাবে।
তিনি আরো বলেন, সচিবালয়ের এই ঘটনার একদম সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। তদন্ত করে তাদেরকে দৃশ্যমান বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং এরকম ঘটনা আর যেন না হয় সেটার জন্য অর্ন্তবর্তী সরকার এবং রাজপথে যারা রয়েছে তাদেরকে তাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ যেই ভূমিকা পালন করা দরকার সেটি পালন করতে হবে।