• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

জীর্ণ ভবনে ডাকসেবা, আতঙ্কে গ্রাহকরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২১, ০৫:৩৮ পিএম

জীর্ণ ভবনে ডাকসেবা, আতঙ্কে গ্রাহকরা

মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী প্রতিনিধি

বেহাল নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ডাকঘরটি। জরাজীর্ণ ডাকঘরে চলছে সেবা কার্যক্রম। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন ডাকঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সেবা গ্রহীতারা।

বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে ডাকঘরে। পারিবারিক সঞ্চয়পত্র, পেনশন স্কিম, ডাক জীবন বীমা, বিদেশ থেকে টাকা লেনদেন, মোবাইল ব্যাংকিংসহ নগদ চালু করে নতুন মাত্রা পেয়েছে এসব ডাকঘর। যার কারণে ডাকঘরে মানুষের যাতায়াতও বেড়েছে। কিন্তু নানা সমস্যায় ভুগছে সৈয়দপুরে প্রধান ডাকঘরটি। অথচ এটি উত্তরাঞ্চলের বাণিজ্যিক শহরের বুকে অবস্থিত সৈয়দপুর প্রধান ডাকঘর।

সরেজমিনে দেখা যায়, ডাকঘরটিতে সেবা নিতে আসা মানুষের ভালোভাবে বসার স্থান নেই। দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে সেবা নিতে হয় সেবা গ্রহীতাদের। ভবনটি পুরোনো হওয়ায় ছাদের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল। ছাদের কোনো কোনো জায়গা ফেটে খসে পড়ছে পলেস্তারা। এতে কর্মরত স্টাফসহ সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা সবসময় থাকেন আতঙ্কে। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম। এই ডাকঘরে প্রতিদিন লেনদেনের পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি চিঠিপত্র আদান-প্রদান তিন শতাধিকের মতো।

ডাকঘরে সেবা নিতে আসা ব্যবসায়ী জয়নুল আবেদীন ও কলেজ ছাত্রী ফারহানা জানান, এ ডাকঘরে পুরাতন আসবাবপত্র দিয়েই চলছে কার্যক্রম। অথচ এ প্রধান ডাকঘর খুব প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী। কিন্তু ডাকঘরটিতে গ্রাহকদের বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। পাশের শৌচাগার থেকে সবসময় দুর্গন্ধ আসতে থাকে। মাথার ওপর পলেস্তারা খসে পড়ার শঙ্কা সবসময় থাকে।

আরেক গ্রাহক রয়েল জানান, এই ডাকঘরের সামনে সাইকেল, মোটরসাইকেল রাখলেই চুরি হয়ে যায়। এরই মধ্যে কয়েকটি সাইকেল ও মোটরসাইকেল চুরি গেছে। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। এই ডাকঘরটি প্রধান ডাকঘরে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে এলেও এখনও সেই দাবি রয়েছে উপেক্ষিত।

কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার সঙ্গে। তিনি বলেন, ডাকঘরের কিছু কিছু জায়গায় ফেটে খসে খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি এলে ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি। ফলে মেঝেতে পানি জমে যায় এবং কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। এতে আমাদের ও সেবা গ্রহণকারীদের ব্যাঘাত ঘটে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি, খুব শিগগির এই ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

টিআর/ডাকুয়া

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ