• ঢাকা রবিবার
    ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১

চলছে সিডিএ ও সিটি করপোরেশনের দেয়াল নির্মাণ, দুর্ভোগ চরমে!

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২১, ০৮:২১ পিএম

চলছে সিডিএ ও সিটি করপোরেশনের দেয়াল নির্মাণ, দুর্ভোগ চরমে!

সোহাগ কুমার বিশ্বাস, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের ৩৬টি খাল নালা নর্দমা মিলিয়ে অন্তত ১৩শ কিলোমিটার এলাকায় রাস্তার দু’পাশে রিটেইনিং ওয়ালের নামে উঁচু উঁচু দেয়াল তৈরি করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সিটি করপোরেশন। এতে কোথাও দু’ফিট আবার কোথাও চার ফিট পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে আশপাশের দোকানপাট-বাড়িঘর সড়ক মহাসড়কগুলো। ফলে ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

সিডিএ বলছে- আগামী ৫০ বছরের পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তারা। তাই এখন না হলেও ভবিষ্যতে এসব প্রকল্পের সুফল পাবে নগরবাসী। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে সুফল পাওয়ার আশায় বর্তমানে জনদুর্ভোগের বিষয়টি আমলেই নিচ্ছে না প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।


নগরীর হালিশহর পোর্ট কানেক্টিং রোডের দুপাশের নালার দুপাড়ে অন্তত ১০ ফুট উঁচু করে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন উদ্দেশ্য জোয়ারের পানি যাতে নালা উপচে সড়কে উঠতে না পারে। এতে পোর্ট কানেক্টিং সড়কসহ আশপাশের দোকানগুলো কোথাও ফুট আবার কোথাও ফুট পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে সড়কে জোয়ারের পানি ওঠার সম্ভাবনা আপাতত বন্ধ হলেও বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে আশপাশের স্থাপনাগুলো নিচু হয়ে যাওয়ায় সেগুলো নতুন করে উঁচু করতে হবে বাসিন্দাদের। এতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা।

হালিশহর পোর্ট কানেক্টিং রোড ছাড়াও ষোলশহর, বহদ্দারহাট, দেওয়ান বাজার, ফিরিঙ্গীবাজার, বাকুরিয়া, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জসহ নগরীর অন্তত ১৩শ কিলোমিটার এলাকায় খাল নালা নর্দমা সংস্কারের নামে দু’পাশে উঁচু করে দেয়াল তুলছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ সিটি করপোরেশন এতে নগরীর কয়েক লাখ বাসিন্দা দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন।


চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস জানান, আগামী ২০৭০ সালে সড়কগুলোর লেভেল কোন পর্যন্ত উঠতে পারে সেই ধারণা করেই খাল নালা নর্দমাগুলোর পাশে রিটেইনিং ওয়ালের ডিজাইন করেছেন তারা। তাই বর্তমানে কিছুটা দুর্ভোগ হলেও ভবিষ্যতে সুফল পাওয়ার আশাও জানান তিনি।

আর নগরবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, বিশ্বের কোন দেশে সড়কের উচ্চতা বাড়ে না। কারণ প্রতিবছর সংস্কারের সময় আগেই কার্পেটিং তুলে নতুন করে করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘটে উল্টো। পুরনো ভাঙাচোরা কার্পেটিংয়ের ওপরই নতুন করে কার্পেট করা হয়। এতে প্রতি বছর সড়কের উচ্চতা বাড়ে। এই ধারাবাহিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে নালা নর্দমার ওয়ালও উঁচু করা হয়। কিন্তু এতে দুর্ভোগে পড়েন আশপাশের বাসিন্দারা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং পলিসিতেই পরিবর্তন আনতে হবে।

টিআর/ডাকুয়া

আর্কাইভ