প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১, ১১:০১ পিএম
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে চায়ের দোকান থেকে
হযরত আলী নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চায়ের দোকানটি হযরত আলীর স্ত্রী ফিরোজা
চালাতেন। হযরত আলী ভ্রাম্যমাণ ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী ছিলেন।
রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে নাগেশ্বরী
পৌর এলাকার পয়রাডাঙ্গা দাদামোড়ের চা দোকান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে হযরতের স্বজনরা বলছেন তাকে হত্যা করা হয়েছে।
হযরত আলীর স্বজন এবং স্থানীয়রা জানান,
পয়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আছমত উল্লাহর ছেলে হযরত আলী (৫৫) পেশায় ভ্রাম্যমাণ ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী।
ভ্যানগাড়িতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভাঙ্গাড়ি কিনে মহাজনের কাছে বিক্রি করতেন। তার দ্বিতীয়
স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাড়ির পাশে দাদামোড়ে একটি চায়ের দোকান করেন। শনিবার সন্ধ্যায় ওই
চায়ের দোকানে যান হযরত আলী। পরে রাত ২টার দিকে স্বজনদের মোবাইল ফোনে তার মৃত্যুর
কথা জানান ফিরোজা বেগম।
হযরত আলীর বোনের ছেলে (ভাগিনা) সোলায়মান
ও রনি জানান, রাত ২টায় মামী ফিরোজা বেগমের ফোন পাই। ফোনে তিনি জানান, মামা (হযরত) রাত
১১টায় অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ২টার কিছু আগে মারা গেছে। আমরা এসে দেখি চায়ের দোকানে একটি
টেবিলের ওপর পড়ে আছে মামার দেহ। মামার মৃত্যু আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
হযরত আলীর ভাইয়ের ছেলে (ভাতিজা) মতিয়ার
রহমান জানান, বেশ কিছুদিন থেকে চাচির স্থানীয় আনিছুর রহমান নামের এক লোকের সঙ্গে অনৈতিক
সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহে চাচা ও চাচির মধ্যে ঝগড়াঝাটি চলে আসছিল। এই জেরে তাকে হত্যা
করা হয়ে থাকতে পারে।
নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার
সুমন রেজা জানান, লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন
পর্যন্ত দেয়নি। অভিযোগ দিলে নেওয়া হবে। আর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া
হবে।
টিআর/এম. জামান