প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১, ০৮:৪৮ পিএম
মাদারীপুরের শিবচরে মা ইলিশ সংরক্ষণে
ইলিশ শিকার বন্ধের ২২ দিনে পদ্মা
নদী থেকে আটককৃত জেলেদের
মধ্যে ২৮৭ জনকে এক
বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জরিমানা
আদায় করা হয়েছে এক লাখ ২৮ হাজার ৫০০
টাকা।
নিষেধাজ্ঞা
শেষে গত সোমবার (২৫
অক্টোবর) রাত ১২টার পরে
স্বাভাবিকভাবে ইলিশ ধরতে পদ্মায়
নামেন জেলেরা।
উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ শিকার বন্ধে শিবচরের পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে গত ২২ দিন প্রায় ২৪ ঘণ্টাই অভিযান চালায় প্রশাসন। ২২ দিনে মোট ৫৬টি অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয় ৩৪টি এবং মামলা দায়ের করা হয় ৮৮টি। এ সময় ৩ দিন থেকে এক বছর পর্যন্ত সাজা দেওয়া হয় ২৮৭ জনকে। অভিযানের সময় কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয় ১৮ দশমিক ২২৯ লাখ মিটার। যার মূল্য ৩ কোটি ৭৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা। এ ছাড়াও ইলিশ জব্দ করা হয় ৪০৬ কেজি, যা স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। অভিযানের সময় পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে ইলিশ বিক্রির অবৈধ ১৫০টি অস্থায়ী স্থাপনা এবং গোপনে ধরা ইলিশ রাখার তিনটি আস্তানা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। জব্দ করা হয় ৬টি মাছ ধরার ট্রলার।
উপজেলা
সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস
ইবনে রহিম জানান, নিয়মিত
অভিযানে জেলা ও উপজেলা
প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা
মৎস্য দফতর, উপজেলা পরিষদ, জেলা পুলিশ, র্যাব-৮, শিবচর
থানা পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও গ্রামপুলিশ
সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে অংশ নিয়েছেন।
শিবচর
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান,
'আমরা মা ইলিশ রক্ষায়
পদ্মা নদীতে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করেছি। জেলেদের নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরতে
বারণ করার পাশাপাশি সচেতনতা
বৃদ্ধিতে কাজ করেছি। এর
পরও কিছু অসাধু জেলে পদ্মায় মাছ শিকারে বের
হয়েছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।'
মাদারীপুর
জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন
বলেন, ‘মা ইলিশ ধরা
বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই আমাদের
প্রশাসন কঠোর ছিল। যারা
সরকারের আদেশ অমান্য করেছে
তাদের আমরা আইনের আওতায়
এনেছি।’
নূর/এম. জামান