প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২১, ০৬:৩০ পিএম
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীর শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ
গৌর নিত্যানন্দ বিগ্রহ (ইসকন) মন্দির, শ্রী শ্রী রাম
ঠাকুর চন্দ্র মন্দির ও শ্রী শ্রী
রাধামাধব জিউর মন্দিরসহ বিভিন্ন
মন্দিরে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায়
গ্রেফতারকৃত আরও তিন আসামি
আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে একই
ঘটনায় আব্দুর রহিম সুজন (১৯)
নামের এক আসামির জবানবন্দি
নেওয়া হয়।
শনিবার
(২৩ অক্টোবর) রাতে চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ আসামিদের জবানবন্দি
গ্রহণ করেন। আসামিরা হচ্ছেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের
কামরুল হাসানের ছেলে আরাফাত হোসেন
আবির (১৯), হাজীপুর ১নং
ওয়ার্ডের নুরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে
ইব্রাহিম খলির রাজিব (২৪)
ও চৌমুহনী পৌরসভা গণিপুর এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন আহম্মেদ
মাহির (১৯)।
পুলিশ
জানায়, মন্দিরে হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের
ভিত্তিতে শনিবার দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আবির, রাজিব ও মাহিরকে গ্রেফতার
করা হয়। পরে চৌমুহনীতে
হামলার ঘটনায় দায়ের করা ২৯ নং মামলায়
রাতে তাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
আমলী আদালত-৩ এ হাজির
করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ
বিচারক নবনীতা গুহ ১৬৪ ধারায়
তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জেলা
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম
জানান, কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে বেগমগঞ্জের
বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় ১০টি মামলা
দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি
ফুটেজ, গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ১২২
জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার
মধ্যে ৪ আসামি হামলার
ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করে
আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি
দিয়েছে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ
হেডকোয়ার্টার থেকে ১টি, চট্টগ্রাম
ডিআইজি কার্যালয় থেকে ১টি, জেলা
পুলিশ থেকে ১টি এবং
জেলা প্রশাসক থেকে ১টি তদন্ত
কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নূর/এম. জামান