প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১, ১০:১৭ পিএম
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা
ক্যাম্পের একটি মাদরাসায় দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় ৬ নিহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত আটজনকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রোহিঙ্গা
ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে শুক্রবার ভোরে একটি
আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ জসিম নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে
বিষয়টি জানিয়েছেন ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতভর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান
চালানো হয়। তবে আটকদের পরিচয় তিনি তাৎক্ষণিক জানায়নি। অপর দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬
নিহতের ঘটনায় উখিয়া থানায় এখনো মামলা হয়নি।
এপিবিএন অধিনায়ক আরও জানান,
শুক্রবার মধ্য রাতে নিহত মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন
হয়েছে।
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে
বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকে অবস্থিত দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা
আল-ইসলামিয়াহ মাদরাসায় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালালে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা
পার্শ্ববর্তী মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেয়। হামলাকারীরা এ সময় মসজিদেও হামলা চালায়।
এ ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প
১২, ব্লক-জে ৫-এর বাসিন্দা হাফেজ ও মাদরাসা শিক্ষক মো. ইদ্রীস (৩২), ক্যাম্প ৯, ব্লক
১৯-এর ইব্রাহীম হোসেন (২৪), ক্যাম্প ১৮, ব্লক-এইচ ৫২-এর বাসিন্দা ও মদরাসা ছাত্র
আজিজুল হক (২২), একই ক্যাম্পের মো. আমীন (৩২) ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ছাড়া, রোহিঙ্গা
ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ ২২-এর বাসিন্দা
ও মাদরাসা শিক্ষক নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), এফডিএমএন ক্যাম্প ২৪-এর বাসিন্দা ও মাদরাসা শিক্ষক হামিদুল্লাহ মারা যান।
এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ
সুপার শিহাব কায়সার জানান, এ ঘটনায় ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা ‘মদুতুল
উম্মা’ মাদরাসা ও আশপাশের এলাকায় ব্লকরেইড পরিচালনা করে আসছে এবং অন্যান্য ক্যাম্প
এলাকায়ও একই সঙ্গে ব্লক রেইড পরিচালনা করা হচ্ছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে নিহত
রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরও এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে
আটক করেছে ১৪ এপিবিএন পুলিশ। তবে তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ। মুহিব্বুল্লাহ
হত্যায় এর আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
টিআর/এম. জামান