প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১, ০৭:১৮ পিএম
রোহিঙ্গা নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস
(এআরএসপিএইচ)-এর চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যার ‘কিলিং স্কোয়াড’-এর এক সদস্যকে গ্রেফতার
করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ১৪ এপিবিএন।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি
নাইমুল হক এক খুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
করে। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় হত্যা
মামলা করেন।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আরসা দায়ী বলে অভিযোগ করেছিল নিহতের পরিবার। তবে
পরবর্তীতে মুহিবুল্লাহ হত্যায় তারা জড়িত নয় বলে এক বিবৃতিতে দাবি করে আরসা। এ ছাড়া পুলিশও
মুহিব হত্যাকাণ্ডে আরসার সম্পৃক্ততার বিষয়টি নাকচ করে দেয়।
পুলিশ জানায়, মুহিবুল্লাহ খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার
করা হয়েছে। এদের একজন মোহাম্মদ ইলিয়াছ কক্সবাজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দিও দিয়েছেন। ওই ঘটনার ২৩ দিনের মাথায় শুক্রবার ঘটলো শরণার্থী ক্যাম্পে ৬ রোহিঙ্গা
হত্যাকাণ্ড।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর দেশটির
রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে নতুন
ও পুরনো মিলে কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবির এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে বসবাস করছেন
প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা।
২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট উখিয়ার কুতুপালং শিবিরের ফুটবল মাঠে গণহত্যাবিরোধী
মহাসমাবেশ হয়েছিল। তাতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা অংশ নিয়েছিলেন। সেই সমাবেশ করেছিলেন
মুহিবুল্লাহ। ৪৮ বছর বয়সী মুহিবুল্লাহকে রোহিঙ্গারা ‘মাস্টার মুহিবুল্লাহ’ বলে ডাকতেন।
টিআর/এম. জামান